রাজ্যের ঢালাও উন্নয়ন,অন্যরাও এবার তৃণমূলকে ভোট দেবেন:কুণাল

জন্ম থেকে শেষ পর্যন্ত মানুষের পাশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার

জলপাইগুড়িতে জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী তৃণমূল। সোমবার জলপাইগুড়ির প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায় এবং জেলা সভানেত্রী মহুয়া গোপকে পাশে নিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, যারা এতদিন অন্যদের ভোট দিয়েছেন এবার তারাও তৃণমূলকে ভোট দেবেন।ছিলেন সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদারও।
এদিন কুণাল বলেন,এখন মুখ্যমন্ত্রী নিজে জেলা স্তরে গিয়ে বৈঠক করে প্রশাসনিক নির্দেশ দেন। ঢালাও উন্নয়ন, পরিকাঠামোর উন্নয়ন তৃণমূল কংগ্রেসের হাত ধরেই হয়েছে। বাংলায় হেরে গেছে বলে বৈষম্যমূলক আচরণ করে বিজেপি। ১০০ দিনের কাজের টাকা দেব না, আবাসের টাকা দেব না। শুধু ইডি-সিবিআই বাংলায় পাঠাও। যেখানে তৃণমূল কম ভোট পেয়েছে সেখানেও রাজ্য সরকারের প্রকল্প কাজ করেছে। রাজ্যের একের পর এক প্রকল্প, উন্নয়ন মানুষের কাছে পৌঁছেছে। জন্ম থেকে শেষ পর্যন্ত মানুষের পাশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।
কুণাল বলেন, যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়ি তৈরীর কথা বললেন তখন এই বিজেপি নেতারাই তার বিরোধিতা করে বলেছে, ভোটের আগে কেন এ কথা বলা হবে। বিজেপি যখন দেখেছে জনমত বিরুদ্ধে যাচ্ছে, তখন নিজেদের মধ্যে চিঠি চালাচালি করে ক্ষতিপূরণ নিয়ে একটা গোল গোল উত্তর বাজারে ছাড়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী৫০০ টাকা বাড়িয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীও ৫০০ টাকা বাড়িয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী লক্ষ্মীর ভান্ডারে বাড়িয়েছেন, আর প্রধানমন্ত্রী গ্যাসের দাম বাড়িয়েছেন।কন্যাশ্রী, রুপশ্রী, লক্ষ্মীর ভান্ডার, স্বাস্থ্যসাথী,রাজ্যের একটার পর একটা প্রকল্প। এরপর মানুষ বিচার করবেন, কার পাশে থাকবেন।

এদিন কুণালের কটাক্ষ, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের চপার তল্লাশি করে কিছুই পাওয়া যায়নি। মুখ পুড়েছে বিজেপির। তাই নজর ঘোরাতে শুভেন্দুর এই নাটক। ক্ষমতা থাকলে বিজেপি নেতাদের বাড়ি যাক না আয়কর দফতর। সারদা কর্তা কোর্টে স্টেটমেন্ট দিয়ে বলেছেন কত কোটি টাকা শুভেন্দু নিয়েছে। যান তদন্ত করুন। আয়কর দফতর বলছে আমরা নিরাপত্তা দেখতে গিয়েছিলাম। তাহলে আজকে অভিষেকের রওনা হওয়ার আগে বেহালা ফ্লাইং ক্লাবের বাইরে তিন ঘণ্টা কিসের জন্য নির্বাচন কমিশনের আধিকারিক নজর রাখছিলেন? কিসের উদ্দেশ্যে? আমরা সেই প্রশ্নের জবাব চাই। অভিষেককে ডিস্টার্ব করার জন্য দিল্লির ওপরতলা থেকে নির্দেশ আসছে, তাই এত তৎপরতা। আসলে অভিষেককে ভয় পাচ্ছে বিজেপি। বেহালা ফ্লাইং ক্লাবের নিরাপত্তা দেখার দায়িত্ব রাজ্য পুলিশের। কেন্দ্রের লোকজন কি করতে গিয়েছিল? আইন শৃঙ্খলা দেখার দায়িত্বটা ইনকাম ট্যাক্সের ঘাড়ে কবে পড়ল সেই ব্যাখ্যাটা কে দেবে? প্রশ্ন তুললেন কুণাল।তার কটাক্ষ, কোথায় গেলেন জিতেন তিওয়ারি। তিনি তো মানহানির মামলা করবেন বলেছেন। সাত দিন তো হয়ে গেল, কোথায় মামলা।
তিনি বলেন, এই ধূপগুড়িতে এসে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, মহকুমা হবে। মুখ্যমন্ত্রী তার ব্যবস্থা করেছেন।

জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, রাজ্যে অর্থনৈতিক অবরোধ করে তাকে পেটে ভাতে মারতে যা যা করা দরকার বিজেপি তাই করছে। নির্বাচন কমিশনের হয়ে কেন শুভেন্দু অধিকারী কথা বলছেন, সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি। অভিযোগ নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ছিল। সুস্পষ্ট নির্দেশ জানতে চাওয়া হয়েছিল রাজ্যের তরফে। কিন্তু যেটা দেওয়া হয়েছে, সেখানে মূল বিষয়টা এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে।




Previous article‘থ্যাঙ্ক ইউ’! তমলুকের বিজেপি প্রার্থীকে তীব্র খোঁচা অভিষেকের, তমলুকে ভালো ফলের আশা
Next articleবাড়ির টাকা নিয়ে শুভেন্দুর ‘বিভ্রান্তকর’ পোস্ট! তথ্য দিয়ে সত্য প্রকাশ অভিষেকের