পহেলগাম হামলার পরে প্রায় তিন সপ্তাহ পার। তার মধ্যে পাকিস্তানে জঙ্গি ঘাঁটি ভাঙতে ভারতীয় সেনার পক্ষ থেকে চালানো হয়েছে অপারেশন সিন্দুর (Operation Sindur)। সেনার দাবি অনুযায়ী বহু জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস হলেও এখনও অধরা পহেলগাম হামলার (Pahalgam attack) আততায়ীরা। এখনও বিচার অধরা নিহত ২৬ জনের পরিবারের। এবার প্রকাশ্যে নির্দিষ্ট জঙ্গিদের ছবিসহ পোস্টার (poster) প্রকাশ করে কাশ্মীরের মানুষের কাছে সাহায্য় চাইল ভারতের গোয়েন্দা বিভাগ। এর আগেও পর্যটক ও কাশ্মীরবাসীর কাছে জঙ্গিদের সম্পর্কে তথ্য চেয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও অধরাই রয়ে গিয়েছে লস্করের (LeT) এক ভারতীয় ও দুই পাকিস্তানি জঙ্গি।

একদিকে ভারতীয় সেনা অপারেশন সিন্দুর জারি রেখে জঙ্গি নিধনের কাজ চালায়। অন্যদিকে পহেলগামের হামলাকারীদের সন্ধান চালানোরও কাজ শুরু হয়। একাধিক পর্যটক স্বতঃপ্রণোদিতভাবেই বিভিন্ন তথ্য় তুলে দেয় গোয়েন্দাদের হাতে। এরপর গত সপ্তাহের বুধবার এনআইএ-র (NIA) তরফ থেকে পর্যটক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে জঙ্গিদের তথ্য চেয়ে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। ইতিমধ্যেই শতাধিক গ্রেফতারি করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি। তা সত্ত্বেও অধরা লস্করের (LeT) ভারতীয় জঙ্গি আদিল হুসেন থোকর, লস্করের পাকিস্তানি জঙ্গি তাহলা ভাই ও হাসিম মুসা।

এবার সেই তিন জঙ্গির ছবিসহ পোস্টার দেখা গেল পহেলগামসহ কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকায়। পোস্টারে (poster) জানানো হয়েছে, যাঁরা এই জঙ্গিদের খোঁজ দিতে পারবেন তাঁদের ২০ লক্ষ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে তথ্য দানকারীদের পরিচয় অপ্রকাশিত রাখা হবে। সেই সঙ্গে সতর্ক করা হয়, যাঁরা এই জঙ্গিদের তথ্য গোপণ করবেন, বা লুকিয়ে থাকতে সাহায্য় করবেন, তাঁরা শাস্তির মুখে পড়বেন।

অপারেশন সিন্দুর-এ ১০০ জঙ্গির নিহত হওয়ার দাবি করেছেন ভারতীয় সেনার ডিজিএমও-রা (DGMO)। তার মধ্যে সাত জঙ্গির পরিচয় প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, তাদের পরিচয় জানা গিয়েছে বলে। মঙ্গলবার সোপিয়ানে সেনার সঙ্গে গুলির লড়াইতে মৃত্যু হয় তিন জঙ্গির। তার মধ্যেও কোথাও পহেলগামের (Pahalgam attack) আততায়ীরা নেই। ফলে মঙ্গলবার পর্যন্তও বিচার অধরা পহেলগামের মৃতদের স্ত্রী-সন্তানদের।

–
–

–

–

–

–


–

–

–

–
