দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের বিরুদ্ধে আন্দোলন এতটাই হিংসাত্মক চেহারা নিয়েছে নেপালে যে মৃত্যু হয়েছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী স্ত্রীর। নিজের বাড়িতে জীবন্ত অগ্নিদগ্ধ করা হয়েছে তাঁকে। আহত বা মৃতদের সহযোগিতা করতে আসা অ্যাম্বুলেন্সকে পর্যন্ত বিক্ষোভকারীদের পাথরবাজির মুখে পড়তে হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সেখানে আটকে পড়ে যথেষ্ট উদ্বেগের মধ্যে পড়ে যান ভারতীয় নাগরিকরা। বুধবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে ভারত-নেপাল সীমান্ত (Indo-Nepal border) দিয়ে ভারতীয়দের দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়া।

ভারত-নেপাল সীমান্তে বাংলার পানিট্যাঙ্কি (Panitanki), উত্তর প্রদেশের সনৌলি, মহারাজাগঞ্জ দিয়ে বুধবার সকাল থেকে ভারতীয় নাগরিকদের দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে সীমা সুরক্ষা বল (SSB)। কেউ পর্যটনের জন্য, কেউ পশুপতিনাথ দর্শনে, কেউ বা ব্যবসার কাজে নেপালে গিয়ে অস্থির পরিস্থিতির মধ্যে আটকে পড়েছিলেন। ভারতীয় নাগরিকদের পরিচয়পত্র যাচাই করে দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে সকাল থেকে। অন্যদিকে, যে নেপালি নাগরিকরা ভারতে ছিলেন তাঁদের জরুরি পরিস্থিতিতে চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজেই নেপাল যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।

তবে বিক্ষোভের পরিস্থিতিতে নেপাল কতটা ভয়ংকর, তা জানাচ্ছেন সেখান থেকে ফিরে আসা ভারতীয় নাগরিকরা। দার্জিলিংয়ের পানিট্যাঙ্কি দিয়ে ভারতের ফিরে আসা অসমের বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, সেখানে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে। পুলিশ নিরাপত্তা দিতে পারছে না। সকাল আটটা থেকে কার্ফু শুরু হওয়ার পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা খারাপ আকার ধারণ করছে। ফলে প্রাণ নিয়ে দেশে ফেরাটাই তাঁদের কাছে বড় ব্যাপার।

আরও পড়ুন: নেপালের অশান্তির আঁচ সোনাগাছিতে, উদ্বেগে নেপালি যৌনকর্মীরা

নেপালের বর্তমান প্রশাসনিক পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীর তরফে শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানানো হয়েছে। বহু জায়গায় থানায় হামলা চালিয়ে থানা পুলিশশূন্য করে দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আগামী ১০-১২ দিন এই অশান্তি জারি থাকবে বলে আশঙ্কা করছেন ভারতে ফিরে আসা নাগরিকরা।

–

–

–

–

–