জনগণের নিরাপত্তায় বিঘ্ন ঘটাচ্ছিলেন আপ বিধায়ক মেহরাজ মালিক। সেই অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রের সরকারের পুলিশ। এরপরই মঙ্গলবার থেকে বিক্ষোভ শুরু হয় কাশ্মীরের ডোডা (Doda) জেলায়। মঙ্গলবার মেহরাজের (Mehraj Malik) পরিবার দেখা করে মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লাহর (Omar Abdullah) সঙ্গে। মুখ্যমন্ত্রী দাবি জানান, বিধায়কের উপর পিএসএ (PSA) আইনের ভুল প্রয়োগ হয়েছে।

জন সুরক্ষা আইনে আপ বিধায়ক মেহরাজ মালিকের গ্রেফতারি নিয়ে মঙ্গলবার থেকেই উত্তাল হয় কাশ্মীরের রাজনীতি। দলীয় কর্মী সমর্থকদের দাবি, কিভাবে মেহরাজ মালিক নিরাপত্তা বিঘ্নিত করছিলেন তা স্পষ্ট করতে হবে কেন্দ্রকে। সেই সঙ্গে মেহরাজের মুক্তির দাবি জানানো হয়। বিভিন্ন এলাকায় পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ-মিছিলে শামিল হন আপ (AAP) কর্মী সমর্থকরা।

মঙ্গলবারই মেহরাজের পরিবার দেখা করে মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লাহ সঙ্গে। পিএসএ (PSA) আইনে আপ (AAP) বিধায়কের গ্রেফতারিতে কেন্দ্রের দাবি, একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পরিষেবা নিয়ে আধিকারিকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছিলেন মেহরাজ মালিক। এরপর তাঁকে পিএসএ আইনে গ্রেফতার করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লাহ এই ঘটনায় আপ বিধায়কের ওপর পিএসএ আইন লাগু করার নিন্দা করেন।

আরও পড়ুন: ফের শুল্কের আলোচনা: ভারতের উপর চাপ কমানোর ইঙ্গিত ট্রাম্পের!

তবে বুধবার থেকে ডোডা (Doda) জেলার পরিস্থিতি অনেকাংশে স্বাভাবিক হয়। তা সত্ত্বেও সকাল থেকে নির্দেশিকা জারি করে ডোডা জেলায় ১৬৩ ধারা (section 163) লাগু করা হয়। আপ কর্মী সমর্থকদের প্রতিবাদ আটকাতে যে দমন নীতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে প্রয়োগ করা হয়েছে কাশ্মীরে, তার প্রতিবাদ জানানো হয় আপের পক্ষ থেকে।

–

–

–

–

–