যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি অনার্সের থার্ড ইয়ারের ছাত্রীর মৃত্যুর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ফের আরেক ছাত্রীর (Student) রহস্যমৃত্যু। তিনি আবার আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের (R G Kar Medicalloge And Hospital) ছাত্রী। আদিবাসী সম্প্রদায়ের ওই ছাত্রীর মৃত্যু হয় মালদহে। সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরে তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন বলে অভিযোগ। অনিন্দিতা সোরেনের (Anindita Soren) মায়ের অভিযোগ, তাঁর মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। এই নিয়েই প্রেমিকের সঙ্গে মনোমালিন্যে তাঁর সম্পর্কের অবনতি হয়। সেই যুবকই অনিন্দিতাকে খুন করেছেন বলে অভিযোগ

অনিন্দিতা বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে। পরিবার সূত্রে খবর, পুরুলিয়ার বাসিন্দা এক যুবকের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল। তিনি মালদহ মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়া (Student) ছিলেন। অনিন্দিতা মা আল্পনা টুডু জানান পুরীর মন্দিরে তাঁরা বিয়ে করেন। অভিযোগ, সম্প্রতি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন অনিন্দিতা। সে কথা জানতে পেরে আল্পনা তাঁদের সামাজিক মতে বিয়ে করার পরামর্শ দেন। অনিন্দিতা তাতে রাজি হলেও তাঁর প্রেমিক রাজি ছিলেন না। অভিযোগ, তিনি অনিন্দিতাকে গর্ভপাত করাতে বাধ্য করেন। এর পর থেকেই দুজনের সম্পর্কের অবনতি হয়। দিন চারেক আগে প্রেমিকের সঙ্গে সামনাসামনি কথা বলতে মালদহে যান অনিন্দিতা। মালদহ শহরে একটি হোটেলে ঘরও ভাড়া নেন তিনি।
আরও খবর: মাথার দাম ছিল ১ কোটি! আত্মসমর্পণ কিষেণজির স্ত্রী সুজাতার

শুক্রবার সকাল ১১টা নাগাদ অনিন্দিতার পরিবারকে ফোন করে জানানো হয়, তাঁদের মেয়ে গুরুতর অসুস্থ। মালদহ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয়েছে। হাসপাতালে পৌঁছে আত্মীয়তা দেখেন, অনিন্দিতার মুখ থেকে গ্যাঁজলা বেরোচ্ছে। চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই মৃত্যু হয় তাঁর। এর পরেই প্রেমিকের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ করে মৃত ছাত্রীর পরিবার। আল্পনার দাবি, তাঁর মেয়ে আত্মহত্যা করতে পারেন না। প্রেমিকই তাঁকে বিষাক্ত কিছু খাইয়ে খুন করেছেন। ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনাটি আত্মহত্যা না খুন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

–

–

–

–

–

–
–

