জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের (National Food Security Scheme) আওতায় রেশন ব্যবস্থার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে রাজ্যে খাদ্য দফতর (State food department) বিশেষ অভিযান চালাচ্ছে। এরাজ্যের ১৭ লক্ষ ২৯ হাজার ৮০২ জন রেশন গ্রাহকের (ration card holder) তথ্য যাচাই করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যে ৩ লক্ষ ৫৩ হাজার ৩০৯টি রেশন কার্ড বাতিল করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

রাজ্যের খাদ্য দফতর বিভিন্ন স্তরে তদন্ত চালিয়ে এই বিপুল সংখ্যক কার্ড বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাজ্যের মোট রেশন গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ৬ কোটি ২ লক্ষ। ফলে এই বাতিলের সংখ্যা মোট গ্রাহকের তুলনায় খুব বেশি না হলেও প্রশাসনিক মহলে এটিকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবেই দেখা হচ্ছে। আরও পড়ুন: টোটোর রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক, অনিয়ম রুখতে কড়া নজর প্রশাসনের

সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গ সরকার ইতিমধ্যেই আধার নম্বরবিহীন ও বায়োমেট্রিক যাচাইবিহীন রেশন কার্ডধারীদের তালিকা তৈরি করেছে। প্রায় ১০ লক্ষ ৭৫ হাজার রেশন গ্রাহককে এই বিভাগে ফেলা হয়। কিন্তু হাতেকলমে যাচাইয়ে দেখা গিয়েছে, তাঁদের মধ্যে প্রায় ১০ লক্ষ ৪১ হাজার শিশু। বয়সে পাঁচ বছরের কম— ফলে আধার নম্বর না থাকা সঙ্গত কারণেই বৈধ।
রাজ্য প্রশাসন জানিয়েছে, বর্তমানে আর্থিকভাবে সম্পন্ন গ্রাহকদের চিহ্নিত করতে নমুনা সমীক্ষা চলছে। কেন্দ্রীয় রিপোর্টে বলা হয়েছে, আয়কর দাতা, সরকারি কর্মচারী, কোম্পানির ডিরেক্টর পদে থাকা ব্যক্তি কিংবা নির্ধারিত আয়সীমার ঊর্ধ্বে থাকা নাগরিকদের কার্ড অবৈধ বলে গণ্য হবে। এই তালিকা তৈরির জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলি থেকে তথ্য সংগ্রহ শুরু হয়েছে।

প্রসঙ্গত, সারা দেশে এনএফএসএ প্রকল্পের আওতায় প্রধানমন্ত্রী অন্ন সুরক্ষা যোজনায় চাল ও গম পাচ্ছেন প্রায় ৮১ কোটি মানুষ। এর মধ্যে প্রায় ৮ কোটি ৫১ লক্ষের মতো রেশন গ্রাহকের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, রেশন ব্যবস্থায় দুর্নীতি রুখে প্রকৃত দরিদ্র পরিবারগুলির কাছে খাদ্য নিরাপত্তা পৌঁছে দিতেই এই অনুসন্ধান অভিযান শুরু হয়েছে। রাজ্যের এক খাদ্যদফতর আধিকারিক বলেন, “যাচাই প্রক্রিয়া একেবারে তথ্যভিত্তিক। কোনও কার্ড বাতিলের আগে প্রতিটি তথ্য পুনরায় যাচাই করা হচ্ছে। প্রকৃত সুবিধাভোগী যেন বাদ না পড়েন, সেটাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।”

–

–

–

–

–
