বাংলার মানুষকে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভয় দেখানো বিজেপির হাফ মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumder) আগেই কড়া চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Bandyopadhyay)। শ্রীরামপুরে ডেকে মুখোমুখি চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন কল্য়াণ। তবে কল্য়াণ বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের মুখোমুখি হওয়ার সাহস দেখালেন না বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। একাই ফাঁকা মাঠে গোল করতে নেমে শ্রীরামপুরে (Serampore) ডাণ্ডার ভয় দেখালেন। পাল্টা ডাণ্ডা কোথায় মারতে হয়, দেখিয়ে দেওয়ার চ্যালেঞ্জ করলেন তৃণমূল সাংসদ।
এসআইআর (SIR) নিয়ে প্রতিবাদে মাঠে নামলে বাংলার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষকে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে গুলি করার হুমকি দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। এবার শ্রীরামপুরে গিয়ে ফের সুকান্তর মুখে ডাণ্ডার ‘বাণী’। শ্রীরামপুরের বিজেপি কর্মী সমর্থকদের তাতাতে ফের একবার অশান্তির আঁচ লাগিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় হাফ মন্ত্রী। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে অশ্লীল আক্রমণ করতেও ছাড়েননি তিনি। সুকান্ত দাবি করেন, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো ছুঁচোদের ভয় পাবেন না। বিজেপির কর্মীরা ঝাণ্ডাও এনেছে, সঙ্গে ডাণ্ডাও (stick) এনেছে। ফোর্থ গিয়ার দিয়ে গেলাম। এই ঝাণ্ডা আর ডাণ্ডার বাণী তৃণমূলকে শোনাতে হবে। কল্যাণদা যদি খেলতে ডাকে তাহলে শ্রীরামপুরের কর্মীরা ভালো করে খেলবেন।
সুকান্ত মজুমদারকে শ্রীরামপুরে আহ্বান জানিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এদিন শহরের বাইরে ছিলেন কল্যাণ। সেখানেই কল্যাণ ফের একবার চ্যালেঞ্জ করেন, সুকান্ত নোটিশ দিয়ে যেতে পারতেন। তবে তিনিও চলে যেতেন। কিন্তু সুকান্ত মজুমদারের সেই হিম্মত হয়নি।
সেই সঙ্গে সুকান্ত যে ডাণ্ডার বাণী দিয়েছেন, তার পাল্টা কল্য়াণ বলেন, সুকান্ত আসুক। ডাণ্ডা দিয়ে মারুক। আমি ডাণ্ডা কোথায় পড়তে হয় দেখিয়ে দেব। এসআইআর (SIR) থেকে নাম কেটে দিয়ে সিআইএসএফ, সিআরপিএফ নিয়ে এসে শ্রীরামপুর (Serampore) লোকসভা কেন্দ্রে একটা মানুষকে গুলি করে মারুক। সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumder) বাড়ি ফিরে যেতে দেব না। ওর বাবা নরেন্দ্র মোদি পারবে না ওকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যেতে।
সুকান্ত মজুমদার শনিবার শ্রীরামপুর থেকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন পুলিশ সরিয়ে নিলে শ্রীরামপুর থেকে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয় অসম্ভব হয়ে যাবে। পাল্টা সুকান্তর অস্তিত্ব নিয়েই প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, মোদি যতদিন আছে, ততদিন এগুলো আছে। মোদি না থাকলে কুকুর বিড়ালে সুকান্তদের টেনে তুলে নিয়ে চলে যাবে।
–
–
–
–
–