বিজয়া সম্মেলনীর মঞ্চে নেতার নামে জয়ধ্বনী হলেও যেন খুব চাপ। তাতে যে আরেক নেতার সমস্যা হতে পারে। তবে সাধারণ কর্মী সমর্থকদের উচ্ছ্বাস, আবেগকে তো আর উপেক্ষা করতে পারেন না সাংসদ। তাই কর্মীদের উন্মাদনায় কীভাবে পরিস্থিতি সামলাতে হয় সেটাও দেখালেন বীরভূম সাংসদ শতাব্দী রায় (Satabdi Roy)। বীরভূমের (Birbhum) কেষ্ট-কাজল দ্বন্দ্বে আগুনে ঘি না ঢেলে ঢাললেন জল বীরভূম সাংসদ।

সিবিআই-ইডির চক্রান্ত কাটিয়ে জেলমুক্তির পরে বীরভূমের রাজনৈতিক সমীকরণ নতুন করে রচনা করছেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। আর সেটা যে তাঁর অবর্তমানে জেলার দায়িত্বে থাকা ফায়েজুল হক (কাজল) (Kajal Sheikh) যে তাঁকে সহজে জায়গা ছেড়ে দেবেন না, তা আগেই স্পষ্ট ছিল। ফলে বীরভূমের রাজনীতিতে কেষ্ট-কাজল সংঘাত কখনই অপ্রকাশিত থাকেনি। তবে এবার সেই শক্তি প্রদর্শনের রাজনীতির বদলে সৌজন্যের রাজনীতি দেখালেন শতাব্দী।

রাজ্য জুড়ে সম্প্রীতির পরিবেশ গড়ে তোলা ও বাংলার আত্মমর্যাদাকে তুলে ধরার জন্য তৃণমূলের বিজয়া সম্মেলনী আয়োজন করা হয় রাজ্য জুড়ে। শনিবার সেই অনুষ্ঠান শেষ হয়। বীরভূমে (Birbhum) মুরারইতে (Muraroi) সেইরকমই এক বিজয়া সম্মেলনীর (Bijaya Sammelani) অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। মঞ্চে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন সাংসদ শতাব্দী রায়। সেই সময়ে অনুষ্ঠান মঞ্চে উপস্থিত হন কাজল। অনুব্রত মণ্ডলের পাশে বসার সময় দুই নেতার মধ্যে আলগা ভাব বিনিময়ও হয়। কিন্তু পরিস্থিতি বদলায় পরমুহূর্তে। কাজলকে (Kajal Sheikh) দেখেই মুরারইয়ের (Muraroi) তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের একাংশ অনুব্রত মণ্ডলের নামে স্লোগান দিতে থাকেন। স্পষ্ট করে দেন তাঁদের নেতা অনুব্রত।

আরও পড়ুন: শুভেন্দুকে দেখে ক্ষোভ উগরালো মহিলারা: ‘হামলা’র তত্ত্ব খাঁড়া বিরোধী দলনেতার

তবে বিষয়টি যাতে কোনওভাবেই নেতিবাচক মোড় না নেয়, তার দায়িত্ব যেন নিজের কাঁধেই তুলে নেন তৃণমূল লোকসভার মুখ্যসচেতক শতাব্দী রায়। প্রথমেই জয়ধ্বনি শুনে তিনি খুব হাসেন। কর্মীরা নেতার নামে জয়ধ্বনি দেবেন সেটাই তো স্বাভাবিক, এমনটাই ছিল সেই হাসি। একবারও কর্মী সমর্থকদের থামানোর চেষ্টা করেননি সাংসদ। উপরন্তু বীরভূমের শীর্ষ নেতাদের নামে আরও সুনাম করে পরিস্থিতি কিছু সময়ের মধ্যে তিনি নিয়ন্ত্রণে এনে ফেলেন। পিছনে বীরভূমের যুযুধান দুই নেতা। তার সামনে অত্যন্ত রুচিবোধেরও পরিচয় দিলেন সাংসদ শতাব্দী।

–

–

–

–

–