দমকলের প্রবল প্রচেষ্টা সত্ত্বেও রংয়ের কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে দাঁড়াল। রঙের কারখানার আগুন ছড়ালো পাশের গেঞ্জি কারখানায় (factory)। নিয়োগ করা হল দমকলের ২২টি ইঞ্জিন (fire tender)। তবে আগুনের ভয়াবহতার ঘটনায় কারখানা কর্তৃপক্ষের নিয়ম না মানাকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে স্থানীয় পঞ্চায়েত।

মঙ্গলবার সকাল থেকে উত্তর ২৪ পরগনার খড়দায় (Khardah) রংয়ের কারখানার আগুন স্থানীয়দের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ভয়াবহ আগুন ও তার কালো ধোঁয়া বহুদূর থেকে দেখতে পাওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে ৫টি দমকলের ইঞ্জিন (fire tender) দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলেও পরে সেই ইঞ্জিনের সংখ্যা বাড়িয়ে ২২টি করা হয়। একের পর এক রাসায়নিকের ড্রাম ফাটার শব্দে কেঁপে ওঠে এলাকা। ওই এলাকাতে পরপর বেশ কয়েকটি কারখানা। রঙের কারখানার (paint factory) পাশের গেঞ্জি কারখানাতেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। যদিও পরবর্তী একটি ব্যাটারির কারখানাকে আগুনের লেলিহান শিখা থেকে রক্ষা করা গিয়েছে, জানায় দমকল বাহিনী (fire brigade)।

প্রায় ছয় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। ঘটনায় কারখানার আটকে পড়া শ্রমিকদেরও দ্রুত বের করে আনা সম্ভব হয়। ফলে হতাহতের কোনও ঘটনা ঘটেনি। আশেপাশের বেশ কয়েকটি বাড়ি থেকে বাসিন্দাদের বের করে আনা হয়। বাড়িগুলি কালো হয়ে যায় আগুনের তাপে। যদিও বেলা পর্যন্ত কারখানার মালিক বা কর্তৃপক্ষকে এলাকায় দেখা যায়নি।

আরও পড়ুন: বিধ্বংসী আগুন রঙের কারখানায়, খড়দায় তৎপর দমকলের ৫ ইঞ্জিন

কি থেকে এই আগুন, তা নিয়ে এখনও তদন্ত চালাচ্ছে দমকল বিভাগ। আগুন সম্পূর্ণ না নেভা পর্যন্ত যদিও সেই তদন্ত সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে যে বেগ পেতে হয়েছে দমকলকে, তার জন্য কারখানা কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেছে স্থানীয় মোহনপুর পঞ্চায়েত (Mohanpur panchayat) কর্তৃপক্ষ। পঞ্চায়েত প্রধান অরুণ ঘোষ দাবি করেন, দীর্ঘদিন ধরেই এই কারখানা কর্তৃপক্ষকে নিয়ম মানার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তা সত্ত্বেও তারা এলাকায় জায়গায় ছাড় দেয়নি। ফলে দমকলের ইঞ্জিন ঢুকতে প্রাথমিকভাবে বেগ পেতে হয়। যার ফলে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করতেই দেরি হয়।

–

–

–

–

–