প্রয়াত সজলের কাঁধেই দোষ চাপালো মেট্রো, তাই আর্থিক ক্ষতিপূরণ নয়

13 জুলাই সন্ধ্যায় মেট্রোর দরজায় হাত আটকে চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছিল বছর 66-র সজল কাঞ্জিলালের। ওই মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় হয় রাজ্য। সজল ছিলেন একজন সাংস্কৃতিক কর্মী। নাট্য ও সংস্কৃতি জগতের বহু মানুষ এই মৃত্যুর পর প্রতিবাদে সামিল হন। সে সময়ও প্রতিবাদীদের ফলাও করে মেট্রোর তরফে ক্ষতিপূরণের কথা বলা হয়েছিল।
এই ঘটনায় মেট্রো রেল প্রয়াত সজলকেই কাঠগড়ায় তুললো। রেলওয়ে সেফটি কমিশনার জনককুমার গর্গ মেট্রো রেলকে দেওয়া রিপোর্টে বলেছেন, ওই যাত্রীর অসতর্কতাই এই দুর্ঘটনার কারণ। রেল সূত্রে খবর, সেফটি কমিশনারের এই রিপোর্টের জেরে কাঞ্জিলালের পরিবারের কোনও আর্থিক ক্ষতিপূরণ পাবে না।

গত পার্ক স্ট্রিট থেকে টালিগঞ্জগামী মেট্রোর নতুন এসি কামরায় উঠতে চেষ্টা করেছিলেন কসবার বাসিন্দা সজল। তখনই গেটে তাঁর হাত আটকে যায়। সেই অবস্থাতেই মেট্রো ছেড়ে দেয়। প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে সুড়ঙ্গের মধ্যে ঢুকে যাওয়ার পর ট্রেন থামিয়ে দেন চালক। কিন্তু ততক্ষণে সুড়ঙ্গের মধ্যেই মৃত্যু হয় সজলের। পরে ময়নাতদন্তে জানা যায়, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে সজলবাবুর। এই ঘটনায় মেট্রোর যাত্রী সুরক্ষার প্রশ্নটিই প্রাধান্য পায়।
মেট্রোর রেলওয়ে সেফটি কমিশনার যে ভাবে সজলের উপর মরণোত্তর দায় চাপালেন, তা নিয়ে অনেকেই বিস্মিত। সজলের পরিবারের বক্তব্য, ‘রেলের প্রতিনিধিরা বাড়িতে এসে আশ্বাস দিয়েছিলেন, তদন্ত শেষে ক্ষতিপূরণের প্রশ্নটি বিবেচনা করা হবে। এখন তো সম্পূর্ণ উল্টো কথা শুনছি।’ তিনি জানান, রাজ্য সরকারের তরফেও সহায়তার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। সজলের পরিবারের এক তরুণের চাকরি চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরে আবেদন করা হয়েছে।
এখন মেট্রোর সুর বদলে স্বাভাবিক ভাবে প্রতিবাদীরাও হতাশ, ক্রুদ্ধ। তাদের বক্তব্য, ‘এটা ইচ্ছাকৃত ভাবে মেট্রো করল। ওরা ক্ষতিপূরণ দিতে চায় না বলেই মরা মানুষটাকে এ ভাবে দোষারোপ করছে।

Previous articleঅসমে এনআরসিতে 12 লক্ষ হিন্দুর নাম বাদ
Next articleদেবশ্রী-বিতর্ক নিয়ে পার্থ: ত্রিকোণ সম্পর্কের সমস্যা, এতে রাজনীতি নেই