Thursday, August 28, 2025

NASA: আনুমানিক ১৩৮০ কোটি বছর আগের ব্রহ্মাণ্ডের ছবি ধরা পড়ল টেলিস্কোপে!

Date:

Share post:

সৃষ্টির আদিকাল থেকেই রহস্য ঘনীভূত হয়েছে। অতীতের ব্রহ্মাণ্ডের ছবি সবার সামনে তুলে ধরতে একের পর এক গবেষণা করে চলেছে মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। অবশেষে সার্থক হল পরিশ্রম। প্রায় অসম্ভবকেই সম্ভব করে দেখাল আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা (NASA)। তাদের টেলিস্কোপে ধরা পড়ব মহাবিশ্বের প্রাথমিক অবস্থা (Earliest Galaxies)যা আনুমানিক ১৩৮০ কোটি বছর আগের ছবি বলেই মত বিজ্ঞানীদের।

মহাকাশ নিয়ে প্রতিমুহূর্তে গবেষণা করে চলেছে নাসা। সেইমতো একের পর এক স্পেস রকেট (Space Rocket),টেলিস্কোপ (Telescope)মহাকাশে পাঠান হয়, যার মাধ্যমের সৃষ্টির আদি রহস্যের সমাধান করা সম্ভব হয়। সেই কাজেই মিলল বিরাট সাফল্য। টেলিস্কোপে যে ছবি ধরা পড়েছে তা এক নজরে দেখে মনে হবে যেন দীপাবলির রাতের আকাশ। তবে ঘন কালো ক্য়ানভাসে যে আলোর রেখা দেখা গেছে, তা আসলে গ্রহ-নক্ষত্র সমেত একাধিক ছায়াপথ। উল্লেখ্য, গত বছর ২৫ ডিসেম্বর জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপটি (James Web Space Telescope) মহাশূন্য়ের উদ্দেশে রওনা দেয়। প্রায় একমাস ছুটে চলার পর পৃথিবীর কক্ষপথ ছাড়িয়ে ১৫ লক্ষ কিলোমিটার দূরত্বের গন্তব্যে পৌঁছয়। মুলত ২টি উদ্দেশ্যে টেলিস্কোপটিকে প্রেরণ করা হয়। এক, ব্রহ্মাণ্ডের আদি নক্ষত্রগুলোর ছবি তোলা এবং দুই, দূর-দূরান্তের গ্রহগুলি প্রাণধারণের উপযোগী কিনা সেই বিষয়ে অনুসন্ধান করা। এর মধ্যে প্রথমটিতে সফল হয়েছে জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ । সোমবার হোটাইট হাউস থেকে তার ঘোষণা করলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Baiden)। নাসা (NASA)সূত্রে খবর, যে ছায়াপথের ছবি ধরা পড়েছে টেলিস্কোপের ক্যামেরায়, পৃথিবী থেকে তার দূরত্ব ৪৬০ কোটি আলোকবর্ষ। কিন্তু এত স্পষ্ট, এত উজ্জ্বল ছবি আগে পাওয়া যায়নি। তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, ১৩৮০ কোটি বছর আগে ব্রহ্মাণ্ডের সূচনাপর্বের অবস্থা ফুটে উঠেছে ছবিতে। নাসা-র অ্যাডমিনিস্ট্রেটর বিল নেলশনের (Bill Nelson) কথায়, “প্রতি সেকেন্ডে আলোর গতিবেগ ১ লক্ষ ৮৬ হাজার মাইল। তাই বর্তমানে নক্ষত্রের যে আলো আমরা দেখি, তা আসলে ১৩০০ বছরের যাত্রা পার করে আমাদের কাছে এসে পৌঁছচ্ছে। এটি প্রথম ছবি হলেও, আরও পিছনে যাচ্ছি আমরা। ব্রহ্মাণ্ডের বয়স ১৩৮০ কোটি বছর। একেবারে সূচনাপর্বেই ফিরছি আমরা।” ওই টেলিস্কোপে সাড়ে ছয় মিটার চওড়া একটি আয়না রয়েছে। অবরোহিত রশ্মি ধরে নেওয়ার উপযুক্ত অত্যাধুনিক প্রযুক্তিও বসানো রয়েছে তাতে। তাতেই বিকৃত ছায়াপথ ধরা পড়েছে, বিগ ব্যাং-এর পর ৬০ কোটি বছর আগেও যেগুলির অস্তিত্ব ছিল মহাশূন্যে। মহাকাশ গবেষণায় এ এক বড় সাফল্য বলছেন বিজ্ঞানীরা।


spot_img

Related articles

ফাঁকা কেন্দ্রগুলিতে দ্রুত ইআরও–এইআরও নিয়োগের নির্দেশ কমিশনের 

ফাঁকা পড়ে থাকা একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে দ্রুত ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (ইআরও) এবং অ্যাসিসটেন্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (এইআরও) নিয়োগের...

নথিভুক্ত অথচ নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে তলব করল কমিশন 

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ফের সক্রিয় হল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। নথিভুক্ত হলেও কার্যত নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে...

সুখবর! পুজোর আগে পার্ট টাইম কর্মীদের বেতন বাড়াল রাজ্য 

পুজোর আগে রাজ্যের আংশিক সময়ের কর্মীদের জন্য বড় সুখবর দিল নবান্ন। বিভিন্ন দফতর ও সরকার অধীনস্থ সংস্থায় কর্মরত...

অভিষেককে প্রাণনাশের হুমকি! হরিয়ানার আম্বালা থেকে গ্রেফতার মুর্শিদাবাদের যুবক

তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রাণে মারার হুমকি দিয়ে গ্রেফতার হলেন এক যুবক। হরিয়ানার আম্বালা থেকে...