বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই ‘শেষ কথা’, ধর্নামঞ্চ থেকে বার্তা তৃণমূল মহিলা নেত্রীদের

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর আস্থা রাখার বার্তা দেন তৃণমূলের মহিলা নেত্রীরা। বিজেপি বিরোধী আন্দোলনকে বাংলা থেকে দিল্লির পথে নিয়ে যাওয়ারও বার্তা দেন তাঁরা।

কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে আটকাতে কংগ্রেসের হাত ধরে যে আখেরে বাংলার কোনও লাভ নেই, শুক্রবারই ধর্না থেকে স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার তাঁরই সুরে বাংলার মানুষকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর আস্থা রাখার বার্তা দেন তৃণমূলের মহিলা নেত্রীরা। বিজেপি বিরোধী আন্দোলনকে বাংলা থেকে দিল্লির পথে নিয়ে যাওয়ারও বার্তা দেন তাঁরা।

কেন্দ্রের বঞ্চনায় সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ, দাবি করেন রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। নিজেদের সংস্কৃতি বাঁচাতে মমতা ব্যানার্জির হাত শক্ত করার আহ্বান জানান তিনি। বিজেপিকে গোটা দেশ থেকে উৎখাত করতে লড়াই না থামিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পাশে থাকার বার্তা দেন তিনি।

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে দিল্লিতে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল তার প্রসঙ্গ টেনে এনেই সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল বলেন সেই লড়াই এখনও চলছে। পাশাপাশি তপশিলি সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে তাঁর বার্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের বন্ধু। ২০২৪ সালের গনতন্ত্রের সবচেয়ে বড় উৎসবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আশীর্বাদ করার বার্তা দেন তিনি।

সাংসদ মৌসম নূরও প্রায় একই সুরে রাজ্যের প্রাপ্য আদায়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্দোলনে প্রসঙ্গ টেনে আনেন ধর্নামঞ্চে। সাধারণ মানুষের দাবি আদায়ে মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকা নিয়ে তিনি বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে সকলের চোখের জল মোছানোর চেষ্টা করছেন, সেভাবে তাঁকে ২০২৪ ভোটে জেতানোর জন্য প্রতিজ্ঞা নিতে হবে।

তৃণমূল রাজ্য সম্পাদক সায়ন্তিকা ব্যানার্জি সরাসরি আঙুল তোলেন বিজেপি সাংসদদের দিকে। তাঁর দাবি এ রাজ্য থেকে বিজেপির যাঁরা সাংসদ হয়ে দিল্লি গিয়েছে, বাংলার মানুষের ভোট পেয়েছে, তারাই দিল্লি গিয়ে বাংলার টাকা আটকে রাখছে। লোকসভায় সাধারণ মানুষকে জবাব দিতে হবে ইভিএমের সামনে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া এই রাজ্যে গতি নেই, বুঝিয়ে দেন তিনি।

তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি সায়নী ঘোষ বিজেপির বিরুদ্ধে আন্দোলনের সুর আরও একধাপ চড়িয়ে দেন। তাঁর দাবি, ছলচাতুরি করে বাংলার বকেয়া টাকা আটকে রেখেছে। বাংলার মানুষেরা প্রাপ্য টাকা যাতে না পায় সেই ষড়যন্ত্র করে বিজেপি নেতারা। কেন্দ্রের অহংকারটা ভাঙার দরকার। বাংলার মানুষকে বঞ্চিত করে রাখতে পারবে না। দিল্লির রাজপথ থেকে কলকাতা রাজপথ পর্যন্ত লড়াই চলবে।