ফের আদালতে মুখ পুড়ল কেন্দ্রের। তাড়াহুড়ো করে পরিযায়ী শ্রমিকদের বাংলাদেশে পাঠানোর পরে, এবার মামলা শোনার এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তোলায় কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) সমালোচনার মুখে পড়ল মোদি সরকার। বৃহস্পতিবার, এই সংক্রান্ত মামলায় আপাতত মামলা শোনার এক্তিয়ারের প্রশ্নে কেন্দ্রের দাবি খারিজ করে দিল বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি ঋতব্রতকুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চ। আদালতের নির্দেশ, এক্তিয়ার নিয়ে মূল মামলার সঙ্গেই বিবেচনা করবে আদালত।

বাংলাদেশে পরিযায়ী শ্রমিকদের পাঠাতে কেন্দ্রের এত কীসের তাড়া? প্রশ্ন তুলে আগেই মোদি সরকারের সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা করেছিল হাই কোর্ট। এবার মামলা শোনার এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তোলায় ফের আদালতের সমালোচনার মুখ পুড়ল কেন্দ্রের। যে ভাবে এবং যে পদ্ধতিতে ওই পরিবারকে বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে, সেই বিষয়ে হলফনামা দিয়ে তাদের বক্তব্য জানাবে কেন্দ্র। তার পাল্টা জবাব দেবে রাজ্য ও ম্যামলাকারীরা। মামলার পরবর্তী শুনানি ২৩ সেপ্টেম্বর।

কেন্দ্রের দেওয়া হলফনামা দেখিয়ে আদালতে (Calcutta High Court) মামলাকারী পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিবার দাবি করেন, ২৪ জুন পুলিশ খতিয়ে দেখেই তাদের একদিন পরে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তারা প্রকৃত এই দেশের নাগরিক কি না, তার খোঁজের কোনও চেষ্টা হয়নি। আদতে তারা মুরারাই পাইকরের আদি বাসিন্দা। ডি পোর্ট করার আগে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের (State) সঙ্গে আলোচনা করতে হয়। কেন্দ্রের ২০২৫ সালের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিবের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ডিএম যাবতীয় খোঁজখবর নিয়ে জানাবেন। একমাসে সময়ের মধ্যে প্রয়োজনিয় নথি পাওয়া না গেলে তখনই দেশ থেকে বিতাড়িত করা যাবে। এখানে সেটা হয়নি। তারা এই রাজ্যের বাসিন্দা। এটাই এখানে মামলা হওয়ার পক্ষে সবচেয়ে বড় যুক্তি।

আগের দেওয়া রিপোর্ট উল্লেখ করে রাজ্য জানায়, এঁরা বীরভূমের বাসিন্দা সেসব তথ্য প্রমাণ-সহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে জানানো হয়েছে আগেই। অথচ সেই রিপোর্টের এখনও কোনও জবাব দিল্লি প্রশাসন দেয়নি। এটা কতটা যুক্তিযুক্ত? যদিও কেন্দ্রের দাবি, কলকাতা হাই কোর্টকে অন্ধকারে রেখে দিল্লিতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ডিপটেশনের পরেও মামলা হয়েছে দিল্লিতে। কিন্তু এই আদালতকে অন্ধকারে রাখা হয়েছে।

–

–

–

–

–

–