আফগানিস্তানের নতুন জলনীতি (Afghanistan new water policy) ঘিরে ফের আফ-পাক অশান্তির সুর। তালিবান প্রশাসন ঘোষণা করেছে কুনার ও কাবুল নদীর উপর একাধিক জলাধার নির্মাণ করা হবে। যার লক্ষ আফগানিস্তানের বিদ্যুৎ উৎপাদন ও কৃষিক্ষেত্রে উন্নতি করা। কিন্তু এই পদক্ষেপে উদ্বেগে পাকিস্তান। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে পেহেলগামে আতঙ্কবাদী হামলার পর ভারত সিন্ধু জলচুক্তি বাতিল করেছে। এবার আফগানিস্থানও একই পথে হাঁটলে বিপদে পড়বে পাকিস্তান।

এই মুহূর্তে আফগানিস্তান পাকিস্তান সংঘাত জটিল আকার ধারণ করেছে। যদিও যুদ্ধবিরতি ঘোষণা হয়েছে তবে তা পুরোপুরি কার্যকর হচ্ছে এমন নয়। কয়েকদিন আগেই সীমান্ত সংঘর্ষে দু’দেশেরই শতাধিক নাগরিক প্রাণ হারিয়েছে। এরই মধ্যে পাকিস্তানকে ‘জলে মারা’র সিদ্ধান্ত নিয়েছে আফগানিস্তান। আফগানিস্তান থেকে পাকিস্তানের যে নদীগুলোতে জল যায় তার ওপর দ্রুত বাঁধ নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন তালিবান সুপ্রিম লিডার মাওলানা হিবতুল্লা আখুন্দজাদা। জানানো হয়েছে নিজেদের দেশের স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

পাকিস্তানের অন্যতম দীর্ঘ নদী গুলির মধ্যে কুনার একটি। আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ উত্তর-পূর্বের পর্বতমালা থেকে উৎপন্ন হয়ে কুনার ও নানগরহার প্রদেশ পেরিয়ে নদীটি পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ায় প্রবেশ করেছে। জালাল আবাদের কাছে কাবুল নদীর সঙ্গে মিশে পাকিস্তানে প্রবেশ করে এই নদী চিতরাল নদী নামে পরিচিত হয়েছে। এই নদী পাকিস্তানের কৃষি, পানীয় ও সেচব্যবস্থার মূল ভরসা। ফলে এই নদীর উপর বাঁধ নির্মাণ হলে পাকিস্তানে জলের ঘাটতি দেখা যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আরো পড়ুন: মহারাষ্ট্রে হাতে চিরকুট লিখে ‘আত্মঘাতী’ মহিলা চিকিৎসক: পুলিশের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, নীরব বঙ্গ বিজেপি!

ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের যেমন জলবন্টন চুক্তি করা আছে আফগানিস্তানের সঙ্গে তেমন কোন চুক্তি স্বাক্ষর নেই। ফলে নিজেদের অধিকারও দেখাতে পারবে না পাকিস্তান।

–

–

–

–

–
–

