বাঙালিকে আর একবার গর্বিত করলেন অভিজিৎ

পড়েছিলেন হলুদ পাড়ের সিল্কের ধুতি আর সিল্কের পাঞ্জাবি। তার উপরে জওহর কোট। ঠিক জওহর কোট নয়। বলা যায় নেহরু কোট। একেবারে আদ্যোপান্ত বাঙালি পোশাক। পাশে স্ত্রী এস্থার ডুফেল। লাল ব্লাউজ আর নীল শাড়ি। কালার ম্যাচিং। যেন বাঙালি ঘরণী। মাইকেল ক্রেমার। পড়েছিলেন তার দেশীয় পোশাক। অর্থনীতির নোবেল পুরস্কার উঠল বাঙালির হাতে। ব্যাকগ্রাউন্ডে বলা হচ্ছিল অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুম্বাইতে জন্মের কথা এবং বেড়ে ওঠার কথা। ক্যামেরা প্যান করে চলে গিয়েছিল দর্শকাসনে বসে থাকা মা নির্মলা আর ভাই অনুরুদ্ধ এবং দুই সন্তানের দিকে। নিশ্চিতভাবে জীবনের সেরা মুহূর্ত জন্মদাত্রীকে উপহার দিলেন অভিজিৎ। রবীন্দ্রনাথ, অমর্ত্য সেনের পর আর এক বাঙালি গর্বিত করলেন বাংলা- বাঙালিকে, ভারতকে।

পৃথিবীর সেরা মানুষগুলো এক ছাদের তলায়। রয়েল সুইডিশ অ্যাকাডেমি স্টকহোম। তার মাঝে উজ্জ্বল বাঙালি অভিজিৎ। পুরস্কারের অর্থ তিনজনই জানিয়েছিলেন গবেষণার কাজে ব্যয় করবেন। ফলে আর এক প্রস্থ হাততালি ঝড় উঠলো সভা জুড়ে। স্বামী-স্ত্রীর নোবেলপ্রাপ্তি। সে কথা মনে করে দিলেন উপস্থাপক। অক্টোবরে নোবেলপ্রাপ্তির ঘোষণার পর আজ হাতে এলো পৃথিবীসেরা পুরস্কার। উপস্থাপক বললেন দারিদ্র দূরীকরণে অভিজিত-এস্থার-মাইকেলের মডেলটি অভিনব। তাঁরা গবেষণাগার থেকে বেরিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে গিয়েছেন। আর এখানেই তাঁদের সাফল্য এবং পুরস্কার প্রাপ্তি। পুরস্কার নেওয়ার পরেই সুইডিশ অ্যাকাডেমির সংগীত বেজে উঠল প্রেক্ষাগৃহ জুড়ে। সুরের মূর্ছনায় বাঙালি সহ নোবেলজয়ীদের বরণ করে নেওয়া হলো। তারপর গ্র‍্যান্ড ডিনার।

Previous articleবাঙালির নোবেলপ্রাপ্তির সেই মাহেন্দ্রক্ষণ
Next articleঅ্যান্টার্কটিকায় যাওয়ার পথে নিখোঁজ বিমান! তারপর যা হলো