সমস্যা না মিটিয়ে স্রেফ ছাড় ঘোষণা অর্থহীন

আরও কিছু ছাড় দিক কেন্দ্র, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে এমন প্রস্তাবই দিতে পারেন দেশের বেশ কয়েকজন মুখ্যমন্ত্রী৷

কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট সচিবের সঙ্গে রাজ্যের মুখ্যসচিবদের যে বৈঠক রবিবার হয়েছে, সেখানে এমন ইঙ্গিতই মিলেছে৷ জানা গিয়েছে, এই বৈঠকে একাধিক রাজ্যের মুখ্যসচিব আরও কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়ার কথাই বলেছেন৷

এদিকে প্রশ্ন উঠেছে, গ্রিন এবং অরেঞ্জ জোনে কেন্দ্র বেশ কিছু অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ছাড় দিলেও বাস্তবে তার ইতিবাচক প্রভাব কতখানি পড়েছে ? আদৌ কি পড়েছে ? শ্রমিকের অভাব এখনও বহাল৷ কাঁচামাল সরবরাহ আজও স্বাভাবিক হয়নি৷ উৎপাদিত পণ্য কোথায় যাবে, আজও তা অজানা৷ তাহলে এই ছাড়ে লাভ কতখানি হয়েছে ? এইসব গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা না মিটিয়ে, কেন্দ্রের স্রেফ ছাড় ঘোষণার অর্থ কী ?

যে কোনও কারনেই হোক, কেন্দ্রের ধারনা হয়েছে, সব রাজ্য তথা সব মুখ্যমন্ত্রী পর্যায়ক্রমে লকডাউন তুলে নেওয়ার পক্ষে৷ তবে ফের যদি লকডাউন বৃদ্ধি পায়, সেক্ষেত্রে আরও কিছু ছাড় আশা করছে রাজ্যগুলি৷

ওদিকে, ১৭ মে শেষ হতে চলেছে তৃতীয় পর্যায়ের লকডাউন৷ লকডাউনের ভবিষ্যৎ নিয়েই সোমবার ফের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী৷ মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেষ যে বৈঠক করেছিলেন, সেখানে বাছাই করা কয়েকজন মুখ্যমন্ত্রী কথা বলার সুযোগ পেয়েছিলেন৷ সোমবার সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে, সোমবারের বৈঠকে সব মুখ্যমন্ত্রীকেই কথা বলতে দেওয়া হবে৷ প্রসঙ্গত, এই প্রথমবার সোমবারের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীরা ছাড়াও সব রাজ্যের মুখ্যসচিব, পুলিশের ডিজি, স্বরাষ্ট্র এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং তাঁদের দফতরে সচিবদের উপস্থিত থাকার কথা৷

Previous articleপ্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠক শুরু আর একটু পরেই
Next articleলকডাউন উঠে যাওয়া এবং কনটেনমেন্ট জোন, কণাদ দাশগুপ্তর কলম