একটি হিন্দি দৈনিকের সঙ্গে যুক্ত ৩৪ বছরের এক সাংবাদিক৷ মহামারির আবহেও চাকরি চলে যাওয়ার ভয়ে খবর সংগ্রহে রোজ তাঁকে বাইরে যেতেই হতো৷
এরপরই ধরা পড়ল মহামারির সংক্রমণ৷ এই সংক্রমণ কোনও ভাবে মানতে পারেননি তিনি৷
কোভিড পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর থেকেই চূড়ান্ত আতঙ্কে ডুবে যান ওই সাংবাদিক৷ তারপর থেকে ডিপ্রেসিং মেসেজ পাঠাতে থাকেন সহকর্মী ও বন্ধুদের৷ তাঁরা সকলেই বুঝতে পারেন যে চরম মানসিক অবসাদে ভুগতে শুরু করেছেন তিনি৷ সকলেই তাঁকে জানান, এই রোগ সেরে যায়, হতাশ হওয়ার কারনই নেই৷
কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি৷
ভয়ে, অবসাদে দিল্লির AIIMS-এর চারতলা থেকে ঝাঁপ দিলেন ওই সাংবাদিক৷ গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে ভর্তি করা হয় ICU-তে৷ এবং সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে৷
উত্তর পূর্ব দিল্লির ভজনপুর এলাকায় থাকতেন তিনি৷ পরিবারে রয়েছেন স্ত্রী ও দুই কন্যা৷ লকডাউনের জেরে কর্মক্ষেত্রও বেহাল ছিল এবং প্রতিনিয়ত চাকরি চলে যাওয়ার ভয় ছিল৷ এর সঙ্গে ছিল বসের মানসিক অত্যাচার৷ সব মিলিয়ে ভালো ছিলেন না তিনি৷
এরপর করোনা আক্রান্ত হওয়ায় নিজেকে আর ঠিক রাখতে পারেননি সাংবাদিক৷ চূড়ান্ত অবসাদে আত্মহত্যাই করলেন৷