করোনা মোকাবিলায় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নজরবন্দি বেঙ্গালুরু ও হায়দরাবাদ !

দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই বা কলকাতা নয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কাছে মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বেঙ্গালুরু ও হায়দরাবাদ। বেঙ্গালুরুতে আবার সুস্থতার হার দেশের সব শহরের মধ্যে কম।
গত তিন দিনে বেঙ্গালুরু আর হায়দরাবাদে করোনা-আক্রান্ত রোগী বেড়েছে যথাক্রমে ১৫.৭ শতাংশ এবং ১৫.২ শতাংশ।
অথচ এই তিনদিনে দিল্লিতে রোগী বেড়েছে ২.৬ শতাংশ, চেন্নাইয়ে ২.৯ শতাংশ, মুম্বইয়ে ১ শতাংশ। কলকাতায় রোগী বেড়েছে ৭.৬৭ শতাংশ।
বেঙ্গালুরুর থেকে সুস্থতার হারে অনেক এগিয়ে দিল্লি , চেন্নাই, মুম্বই, হায়দরাবাদ ও কলকাতা।
তবে দুই রাজ্যের প্রশাসনকে কিছুটা হলেও স্বস্তি দিয়েছে কম মৃত্যুর হার।
আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেঙ্গালুরুতে অব্যবস্থার অভিযোগ উঠেছে । যদিও করোনার চিকিৎসায় কারো কোনও অসুবিধা হবে না বলে আশ্বস্ত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদিউরাপ্পা।
করোনা-পরিস্থিতি সব থেকে খারাপ তেলঙ্গানায় । এই রাজ্যে এখন মোট ১ লক্ষ ২২ হাজার ২১৮টি নমুনার মধ্যে পজিটিভ এসেছে ২৫,৭৩৩টি নমুনা। অন্যদিকে ৭ লক্ষ ২২ হাজার ৩০৫টি নমুনার মধ্যে কর্নাটকে পজিটিভ হয়েছে ২৫,৩১৭টি নমুনা।করোনা সংক্রমণ রুখতে শনিবার রাত থেকে সম্পূর্ণ লকডাউন জারি করা হয়েছে বেঙ্গালুরুতে। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বিক্রি এই লকডাউন থেকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। তবে রাস্তায় বের হওয়া নিষিদ্ধ, প্রয়োজনে মোটা অঙ্কের জরিমানা করবে পুলিশ ।
রাজ্যের কোভিড-১৯ টাস্কফোর্স এই পরিস্থিতিটির কার্যকর পর্যবেক্ষণ এবং নজরদারি করার জন্য বেঙ্গালুরুতে ৮,৮০০ টি কমিটি সহ রাজ্য জুড়ে বুথ-স্তর কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। টাস্ক ফোর্সের পক্ষ থেকে ৫০ বছরের নীচের রোগীদের ক্ষেত্রে ১৪ থেকে বাড়িয়ে ১৭ দিনের আইসোলেশনের মেয়াদ এবং হোম আইসোলেশন সংক্রান্ত নিয়মবিধি প্রকাশ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রথম দিকে বেঙ্গালুরুতে করোনা আক্রান্তের খোঁজই পাওয়া যায়নি কার্যত। গোটা দেশের কাছে বেঙ্গালুরু একটা মডেল হয়ে ওঠে। কিছু দিন আগেই শহরে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এক হাজারের গণ্ডি অতিক্রম করে। তার পর থেকে প্রায় প্রত্যেকদিন ৮০০ থেকে ৯০০ জন করে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন বেঙ্গালুরুতে।

Previous articleমোহভঙ্গ! তৃণমূলেই ফিরতে চান বিপ্লব মিত্র
Next articleবঙ্গললনার গানের প্রশংসা সুরসম্রাজ্ঞীর