খাস কলকাতায় নাবালক পাচারচক্রের পর্দা ফাঁস

লকডাউনের সকালে খাস কলকাতা থেকে ২১জন নাবালককে উদ্ধার করার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল। উদ্ধার হওয়া নাবালকেরা সকলেই বিহারের সমস্তিপুরের বাসিন্দা। তাঁদের বয়স ১৫ বছর থেকে ১৭ বছরের মধ্যে। একই সঙ্গে তাদের সঙ্গে থাকা তিনজন যুবককেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গোপন সূত্রে পেয়ে, রবিবার রাত থেকেই বাবুঘাটে ঘাঁটি গেড়েছিল কলকাতা পুলিশের একটি টিম। সোমবার সকালে নির্দিষ্ট সেই বাস ঢুকতেই পুলিশ ওই ২১জন নাবালক ও তাদের সঙ্গে থাকা ৩জন যুবককে আটক করে। ধৃতরা হল মহম্মদ এহসান, মহম্মদ আফজাল ও মহম্মদ চাঁদ। আফজালই এই পাচার চক্রের পাণ্ডা বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। পরিকল্পনা ছিল, বিহার থেকে দূরপাল্লার বাসে করে নাবালকদের নিয়ে কলকাতায় এসে, সেখান থেকে তাদের দেশের বিভিন্ন শহরে পাচার করে দেওয়া হবে।

অভিযুক্ত তিন যুবক ও নাবালকদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, এই চক্রের পিছনে বড় কোনও মাথা কাজ করছে। তাদের লক্ষ্য, গরিব পরিবারের ছেলেদের খাবার ও কাজের টোপ দিয়ে পাচার করা। সম্ভবত এই ২১জন নাবালককেও সেই টোপ দিয়েই পাচার করা হচ্ছিল।

সোমবার, উদ্ধার হওয়া নাবালকরা অত্যন্ত পিছিয়ে পড়া পরিবারের। অনেকেই ঠিক করে দুবেলা খাবার জোটে না। রোজগারের পাশাপাশি ভাল খাবারের প্রলোভনও তাদের দেখানো হয়েছিল বলে অনুমান। যে রায়না নাবালকরা জানিয়েছে, কলকাতার বিভিন্ন চায়ের দোকানে তাদের কাজ দেওয়া হবে বলে প্রলোভন দেখিয়ে ছিলেন আফজলেরা।

কিন্তু পুলিশের অনুমান, চায়ের দোকানে কাজ দেওয়ার কথা টোপ মাত্র। এদের পাচার করার ছক নিয়েই এখানে আনা হয়েছিল। কারণ, একসঙ্গে এতগুলি ছেলেকে এই পরিস্থিতিতে কোনো জায়গাতেই কাজ দেওয়া বাস্তব নয়।
এখন প্রশ্ন, কী উদ্দেশ্যে পাচার করা হচ্ছিল? অপরাধ বিশেষজ্ঞদের মতে, নাবালিকা, তরুণীদের মতোই নাবালকদেরও পশ্চিম এশিয়ার যৌন ব্যবসায় চাহিদা রয়েছে। সে জন্যই সম্ভবত এদের পাচার করার ছক কষা হচ্ছিল। এখন মধ্য প্রাচ্যে যৌন ব্যবসার জন্য নাবালকদের চাহিদা খুব বেড়ে গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। সম্ভবত এই নাবালকদের বাংলাদেশ নিয়ে গিয়ে সেখান থেকে মধ্য প্রাচ্যের দেশে পাচারের পরিকল্পনা ছিল।

আরও পড়ুন- প্রোমোটারি রাজ: মহিলাকে বিবস্ত্র করে রাস্তায় দাঁড় করিয়ে রাখার অভিযোগ

Previous articleবিজ্ঞাপনে প্রথমবার রাজ-শুভশ্রী, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল অন্তরঙ্গ মুহূর্ত
Next articleশোভন সর্বকালের অন্যতম সেরা রাজনীতিবিদ: বৈশাখী