ভাইরাস আক্রান্তকে হাসপাতালে পৌঁছনো, মৃতদেহ সৎকার, নিজেই সামলাচ্ছেন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট

ভয়াবহ পরিস্থিতিতে একেবারে সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে কাজ করছেন কোচবিহারের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট বিশ্বদীপ মুখোপাধ্যায়। কখনও করোনা আক্রান্তের মৃতদেহ সৎকার করছেন। তো আবার কখনও করোনা রোগীকে হাসপাতালে পৌঁছে দিচ্ছেন। তাঁর দাবি, শুধুমাত্র তিনি তার দায়িত্ব পালন করছেন।

কোচবিহারে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বহু। এহেন পরিস্থিতিতে বিশ্বদীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমি একজন প্রশাসনের কর্মী হয়ে শুধুমাত্র কর্তব্য পালন করছি।” তাঁর এই কাজের প্রশংসা করে কোচবিহারের মহকুমা শাসক সঞ্জয় পাল বলেন, “বিশ্বদীপবাবু কোভিড প্রটোকল মেনেই মৃতদেহ দাহ করছেন। মানুষের সাহায্যে তিনি এগিয়ে আসছেন। প্রয়োজনে মুখাগ্নি করা থেকে মৃতদেহ দাহ করা সবকিছুই তিনি করছেন।”

দফতরের কর্মীদের থেকে এই কাজের জন্য ভূয়সী প্রশংসাও পেয়েছেন তিনি। প্রশংসা পেয়েছেন এলাকার মানুষদের থেকেও।

করোনা পরিস্থিতির শুরুর সময় থেকে এমন কাজ প্রায় প্রতিদিনই তিনি করে চলেছেন ওই এলাকায়। প্রশাসন সূত্রে খবর, অতিমারি পরিস্থিতি শুরুর সময় থেকে মুম্বই থেকে ফেরার পথে এক বাংলাদেশী নাগরিকের মৃত্যু হয়। তার পরিবারের সদস্যরা তাকে কোচবিহারে নিয়ে আসেন। সেখানেই তাকে দাহ করা হয়। সে সময় তাদের সাহায্যে এগিয়ে এসেছিলেন বিশ্বদীপ মুখোপাধ্যায় নিজে। সম্প্রতি এক ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। তার পরিবারের সদস্যরা তাকে মুখাগ্নি করতে অস্বীকার করেন। সেই মৃতদেহের মুখাগ্নি করেন বিশ্বদীপ মুখোপাধ্যায়। কোচবিহার পুরসভার এক আধিকারিক এর মৃত্যু হয় শুক্রবার। তার পরিবারের সদস্যরা এখানে থাকেন না। পরিবারের অনুমতি নিয়েই তার দেহ সৎকার হয় এই জেলাতেই। সেক্ষেত্রেও এগিয়ে আসেন স্বয়ং বিশ্বদীপ মুখোপাধ্যায়। এছাড়া আরো কিছু মৃতদেহের দাহ কাজ তিনি নিজে হাতে করেন সবটাই কোভিড প্রটোকল মেনে। জেলায় যখন পরিযায়ী শ্রমিকরা যখন ফিরে আসছিল ঠিক সেই সময় তাঁকে দেখা গিয়েছে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে গিয়ে প্রতিনিয়ত কাজ করতে।

আরও পড়ুন-ব্যাপক ভাঙন গেরুয়া শিবিরে! বেহালায় তৃণমূলের বিক্ষোভ সমাবেশ যেন দলবদলের মঞ্চ

Previous articleরাজ-শুভশ্রীর ছেলে যুবানের নামে ফেক অ্যাকাউন্ট ফেসবুকে, নিজেই জানালেন পরিচালক
Next articleফের ঠাকরেকে ঠুকে কঙ্গনা : মনে হচ্ছে যেন এবারের মতো বেঁচে গেলাম!