রোগীর চিকিৎসা শুরু হতে দেরি, হাসপাতালে কি ফের বেহাল পরিষেবা?

পরিবার সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাত থেকে তীব্র শ্বাসকষ্ট হতে শুরু করে শোভাবাজারের বাসিন্দা, বছর ৬০-এর সুপ্রিয়া সেনের। সঙ্গে মাথায় যন্ত্রণা, বমি ভাব ও ডায়রিয়াও শুরু হয়। বেগতিক দেখে, শুক্রবার সকালে স্বামী অমিতাভ সেন ও পুত্র অরিত্রিক তাকে নিয়ে আসেন কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

অভিযোগ, হাসপাতালে পৌঁছানোর পর তাঁদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসেননি হাসপাতালের কোনও কর্মীই। রোগীকে এমার্জেন্সিতে নিয়ে যাওয়ার জন্য কোন স্ট্রেচার বা ট্রলি পাওয়া যায়নি। বাধ্য হয়ে সুপ্রিয়া দেবীর স্বামী অমিতাভ সেন ও ছেলে অরিত্রিক মিলে তাকে চ্যাংদোলা করে নিয়ে যান এমার্জেন্সিতে। এখানেই শেষ নয়। এমার্জেন্সিতে চিকিৎসককে দেখিয়ে বেরোনোর পরেও স্ট্রেচার বা ট্রলি পাননি তাঁরা। রোগীকে ফের চ্যাংদোলা করে নিয়ে যান সিটি স্ক্যান করাতে। সব রকম পরীক্ষার পর তাকে ভর্তি করা হয় এমারজেন্সি অবজারভেশন ওয়ার্ডে।

আরও পড়ুন : ২৬ থেকে ২৯ অক্টোবরের মধ্যে শোভাযাত্রা ছাড়াই প্রতিমা বিসর্জন, নির্দেশ কলকাতা পুলিশের

প্রসঙ্গত, রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার পর থেকেই একের পর এক চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ এসেছে। তার সরকারি হাসপাতাল হোক বা বেসরকারি হাসপাতাল। বহু ক্ষেত্রে করোনা হাসপাতালের বেড পাওয়া নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়েছে রাজ্যবাসীকে। একের পর এক হাসপাতালে ঘুরে মারা গিয়েছে রোগী।

তবে এই ধরণের অভিযোগ করোনা পরিস্থিতির আগেও ছিল। চিকিৎসায় গাফিলতি থেকে অত্যধিক বিল, রোগী ফিরিয়ে দেওয়া থেকে শিশুমৃত্যু। সম্প্রতি, একদিনে পাঁচটি হাসপাতালের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশন।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে, তারা জানায়, গোটা ঘটনা তদন্ত করে দেখা হবে। তবে এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি রোগীর পরিবার।

Previous articleইস্টবেঙ্গলের কোচ লিভারপুল- কিংবদন্তি রবি ফাওলার
Next articleপ্রাক্তনীকে সাহায্যের উদ্যোগ ছাত্র সংসদের, চাপ বাড়াতে ইস্তফা পরিচালন সমিতির সদস্যদের