ফের বাঁকুড়ায় হাতির হানা, বিদ্যাসাগরের জন্মভূমে তাণ্ডব দাঁতালের

দুদিন অন্তর হাতির তাণ্ডবে প্রাণ ওষ্ঠাগত বাঁকুড়াবাসীর। কয়েকদিন আগেও বাঁকুড়ার সোনামুখী রেঞ্জে হানা দেয় হাতির দল। আতঙ্ক বাড়ছে বাঁকুড়া উত্তর বনবিভাগের সোনামুখী রেঞ্জের জঙ্গল লাগোয়া বন পারুলিয়া, মাস্টারডাঙ্গা, বেশিয়া গ্রামের বাসিন্দাদের। শুক্রবার রাতে ফের বাঁকুড়ার বীরসিংহ গ্রামে ঢুকে তাণ্ডব চালাল একটি দলছুট দাঁতাল।

আরও পড়ুন : মাত্র ১০০ টাকার জন্য সরকারী বাসের চালককে পিষে মারল অন্য বাসের চালক

বন দফতর সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে ৩৮-৪০টি হাতির দলকে পাত্রসায়র থেকে সোনামুখীর জঙ্গলের দিকে তাড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন বনকর্মী ও হুলা পার্টির সদস্যরা। ওই সময়, দলছুট হয়ে একটি দাঁতাল হাতি ঢুকে পড়ে বীরসিংহ গ্রামে। পরপর বেশ কয়েকটি দোকানে ভাঙচুর চালায় হাতিটি। একটি দোকানে ঢুকে সেখানে রাখা তাঁত যন্ত্র ভেঙে দেয়।

আরও পড়ুন : অভিষেকের ক্যারিশ্মা: আলিপুরদুয়ারে সন্ধি শাসকদলের যুযুধান দুই গোষ্ঠীর

প্রসঙ্গত, কয়েক দিন আগেও বড়জোড়া থেকে ৪০টি হাতির একটি দল সোনামুখী বনাঞ্চলে ঢুকে পড়েছিল। বনদফতরের দাবি, সারাদিন সোনামুখী রেঞ্জ এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তারা। সূর্যাস্তের পরেই তারা নেমে পড়ছে ধানের জমিতে। পেকে যাওয়া ধান নষ্ট করে ফেলছে ভারী পায়ের চাপে। ধারাবাহিকভাবে হাতির এই আক্রমণের পিছনে বন দফতরের উদাসীনতাকেই দায়ি করছেন ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসীরা। তাদের দাবি, হাতি তাড়াতে কোনও সদর্থক ভূমিকা বনদফতর গ্রহণ করেনি।

Previous articleবিধি মেনে এবার ঘট পুজো বার্মিংহামের ‘নবারুণ’-এ
Next articleনিউ নর্মালের জের, ভার্চুয়াল মাধ্যমেই নতুন জীবনের সূচনা যুগলের