বিধানসভা অধিবেশনে গরহাজির ‘বাগী’ ৪ তৃণমূল বিধায়ক, বিজেপি যাওয়া নিশ্চিত !

দলের হুইপ ছিলো, কিন্তু রাজ্য বিধানসভার

দু’দিনের সংক্ষিপ্ত অধিবেশনে গরহাজির রইলেন তৃণমূলের(TMC) ‘বাগী’ বিধায়করা। ফলে জল্পনা আরও তীব্রতা পেয়েছে৷ রাজনৈতিক মহলের ধারনা, ৩০-৩১ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের(Amit Shah) উপস্থিতিতেই পদ্ম-পতাকা হাতে তুলে নিতে পারেন তৃণমূলের রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়,(Rajib Banerjee) প্রবীর ঘোষাল, (Prabir Ghoshal) বৈশালী ডালমিয়া (Vaishali Dalmia) এবং লক্ষ্মীরতন শুক্লা (Laxmiratan Sukla) এবং সঙ্গে হয়তো আরও কেউ৷

 

বুধবার বিধানসভার অধিবেশন শোকপ্রস্তাবের পর মুলতুবি হয়ে যায়। বৃহস্পতিবার ছিলো পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন। একদিনও দেখা যায়নি ওই চার বিধায়ককে৷ বহু আগে থেকেই দল এবং প্রশাসনের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করেছিলেন ডোমজুড়ের বিধায়ক রাজীব৷ গত শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালের কাছে মন্ত্রী পদে নিজের ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দেন রাজীব। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করে হুগলি জেলার তৃণমূল মুখপাত্র ও কোর কমিটির সদস্যপদ ত্যাগ করেন উত্তরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল। ওই ঘোষণার পর প্রবীরবাবুকে শোকজ করে তৃণমূল৷ ওদিকে বালির বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়াকে বহিষ্কার করেছে তৃণমূল৷ তবে এখনও তিনি বিধায়ক৷ আর অনেক আগেই দল ও সরকারের সব পদ ছেড়েছেন হাওড়া উত্তরের তৃণমূল বিধায়ক তথা প্রাক্তন ক্রিকেটার

লক্ষ্মীরতন শুক্লা৷ এদের কাউকেই বিধানসভার অধিবেশনে যায়নি।

তৃণমূল পরিষদীয় দলের তরফে এবার হুইপ জারি করে নির্বাচিত বিধায়কদের এবারের অধিবেশনে যোগদান বাধ্যতামূলক করা হয়েছিলো। কেন্দ্রীয় সরকারের আনা কৃষি আইনের বিরোধিতা করে আনা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেওয়ার জন্যই বিধায়কদের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করা হয়েছিলো। তৃণমূল পরিষদীয় দল সূত্রে খবর, এই বিদ্রোহী বিধায়কদের দলের তরফে ফোন করে আসতে বলা হয়নি৷ তবে SMS পাঠানো হয়েছে।

অধিবশেনে এই ৪ বিদ্রোহী বিধায়ক হাজির না থাকলেও, তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক মিহির গোস্বামী অধিবেশনে ছিলেন৷

এই ৪ বিধায়ক অধিবেশনে না আসায় তৃণমূল শিবির নিশ্চিত এরা দলবদল করছেনই৷

Advt

 

Previous articleপ্রাচীন রীতি মেনে সম্পন্ন হল মহারাজাদের কূলদেবতা মদন মোহন ঠাকুরের পৌষ্যাভিষেক যাত্রা
Next articleবিজেপির বিরুদ্ধে ‘ফেক ভিডিও’ ভাইরালের অভিযোগ, অশান্তি রোখার বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর