চৌরঙ্গিতে শিখার পরিবর্তে দেবব্রত, কাশীপুর-বেলগাছিয়ায় শিবাজি! নতুন তালিকায় একাধিক পরিবর্তন বিজেপির

গত বৃহস্পতিবার বাংলাত জন্য যে প্রার্থী তালিকা (Candidate List) প্রকাশ করেছিল বিজেপি (BJP), তা নিয়ে প্রবল বিড়ম্বনার মুখে পড়তে হয়েছিল গেরুয়া শিবিরকে। দলের অন্দরের বিদ্রোহে বিক্ষোভ, অবরোধ, অনশন, ভাঙচুর, মারামারি তো ছিলই, একইসঙ্গে মুখ পুড়েছিল বিজেপির। যে তালিকা তারা প্রকাশ করেছিল, সেখানে চৌরঙ্গি (Chowringhee) কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে সোমেন মিত্র জায়া শিখা মিত্রের (Shikha Mitra) নাম ছিল। তাঁর নাম প্রার্থী তালিকায় শোনার পরই চরম অস্বস্তিতে পড়েন সোমেন-পত্নী। তবে অস্বস্তির থেকে বিরক্তিই বেশি হয়েছে তাঁর। শিখার অভিযোগ, তাঁকে না জানিয়েই এমনটা করা হয়েছে। কী ভাবে এ কাজ করতে পারল বিজেপি, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। প্রসঙ্গত, বিজেপি নেতা তথা নন্দীগ্রামের শুভেন্দু অধিকারী শিখার সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তাঁকে বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি শিখার। ব্যস, ওইটুকুই। কিন্তু তার পরে এ নিয়ে আলোচনা আর এগোয়নি। স্রোতের বিরুদ্ধে গিয়ে বিজেপি’র প্রার্থী পদ প্রত্যাখ্যান করায় প্রয়াত সোমেন মিত্রের স্ত্রী শিখা মিত্রকে ফোন করে ধন্যবাদ জানান কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী। এবার সেই চৌরঙ্গি কেন্দ্রে বিজেপি শিখা মিত্রের পরিবর্তে নতুন প্রার্থী হিসেবে দেবব্রত মাজির নাম ঘোষণা করেছে।

অন্যদিকে, কাশীপুর বেলগাছিয়া (Kashipur Belgachiya) কেন্দ্রে নতুন প্রার্থী হিসেবে দলের উত্তর কলকাতা জেলা সভাপতি শিবাজি সিংহ রায়ের (Shivaji Singha Roy) নাম ঘোষণা করেছে বিজেপি। এখানে বিদায়ী বিধায়ক মালা সাহার স্বামী তরুণ সাহাকে আগে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছিল বিজেপি। কিন্তু শিখা মিত্রের মতোই তরুণ সাহা জানিয়েছিলেন, তাঁকে না জিজ্ঞাসা করে প্রার্থী করা হয়েছে। তিনি তৃণমূলেই আছেন। এ ক্ষেত্রেও মুখ পোড়ে বিজেপির। তাই বর্ষীয়ান শিবাজিবাবুকে প্রার্থী করলো তারা।

Advt

এছাড়াও অর্থনীতিবিদ অশোক লাহিড়ীর কেন্দ্র পরিবর্তন করা হয়েছে। আলিপুরদুয়ার থেকে সরিয়ে তাঁকে প্রার্থী করা হলো বালুরঘাটে। এর আগে তাঁর প্রার্থী হওয়া নিয়ে আলিপুরদুয়ার জেলার নেতা-কর্মী ও অনুগামীদের প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়ে অবশেষে পিছু হাঁটে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। আলিপুরদুয়ারে প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা করেও পরবর্তীকালে সরিয়ে দেওয়া হয় প্রার্থীকে। বিজেপির প্রথম তালিকায় ঠাঁই পেয়েছিলেন অশোকবাবু। কিন্তু দ্বিতীয় তালিকা ঘোষণা করার সময় আলিপুরদুয়ারের প্রার্থী হিসেব তাঁর নাম বাদ দেয় বিজেপি। আলিপুরদুয়ারে অশোক লাহিড়ীর পরিবর্তে প্রার্থী করা হয়েছে সুমন কাঞ্জিলালকে।

অন্যদিকে, বনগাঁ উত্তরের দলবদলু বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসের নিজের কেন্দ্র থেকে সরিয়ে প্রার্থী করা হলো বাগদায়। যেখানে আরেক দলবদলু বিধায়ক দুলাল বর নিজের কেন্দ্রে টিকিট পেলেন না। আর বনগাঁ উত্তরে প্রার্থী হলে শান্তনু ঠাকুর ঘনিষ্ঠ অশোক কীর্তনীয়া।

একইসঙ্গে পাহাড়ের তিন কেন্দ্রে প্রার্থী ঘোষণা করল বিজেপি। দার্জিলিংয়ে তাদের প্রার্থী নীরজ তামাং জিম্মা, কার্শিয়াংয়ে বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা এবং কালিম্পং-এ শুভা প্রসা

 

 

Previous articleবিজেপির হয়ে প্রথম প্রচারেই প্রবল বিক্ষোভের মুখে শিশির, ঘণ্টাখানেক রইলেন ঘেরাও
Next articleআমেরিকার কলোরাডোয় বন্দুকবাজের হানা, দশজনের মৃত্যুর আশঙ্কা