অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে না সংক্রমিতদের শরীরে, উদ্বিগ্ন বিশেষজ্ঞরা

Omicron's group infection in the country

জেট-গতিতে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। করোনা বারবার ফিরে আসার কারণ হিসেবে এক সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে সংক্রমিতদের শরীরে তৈরি হচ্ছে না অ্যান্টিবডি। ভারতে করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণ। কোনমতেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না করোনা পরিস্থিতি। দৈনিক সংক্রমণ ছাড়াচ্ছে সাড়ে ৩ লাখের গণ্ডি। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। বিশ্বে এখন সংক্রমণের শীর্ষে রয়েছে আমেরিকা, দ্বিতীয় স্থানেই রয়েছে ভারত।

মার্চ মাসে ভারতের ১৭টি রাজ্য এবং ২টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ‘কাউন্সিল ফর সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ’ সমীক্ষা চালিয়েছিল। সমীক্ষা জানাচ্ছে, মোট ১০,৪২৭ জনের উপর পরীক্ষা চালিয়ে দেখা গিয়েছে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে মাত্র ১০.১৪ শতাংশের শরীরে। কার্যত এই রিপোর্ট পেয়ে মাথায় হাত বিশেষজ্ঞদের। তাঁদের মতে, করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে না উঠলে শুধুমাত্র টিকা আর ওষুধের সাহায্যে কোভিড-দমন খুবই কঠিন।

আরও পড়ুন-শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়ায় মাকে রাস্তায় ফেলে গেল ছেলে, মৃত্যু হল করোনা আক্রান্তের

অনেকের শরীরে আবার অ্যান্টিবডিগুলি ৫-৬ মাসের মধ্যেই দুর্বল হয়ে পড়ছে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। ফলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির আবার সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা থাকছে। সিএসআইআর-এর গবেষক শান্তনু সিং বলেছেন, গত সেপ্টেম্বরে দেশজুড়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শীর্ষে উঠেছিল কিন্তু অক্টোবর থেকে করোনা গ্রাফ নিম্নমুখী হয়। কিন্তু ‘কার্যকরী অ্যান্টিবডির অভাবে’ ফের মার্চ মাস থেকে সংক্রমণের গতি বাড়তে শুরু করে। তিনি আরও বলেন, “আমদের গবেষণায় দেখা গিয়েছে নিউক্লিওক্যাপসিড প্রোটিন বিরোধী অ্যান্টিবডি সংক্রমণ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিন্তু অ্যান্টিবডি তৈরির পরেও প্রায় ২০ শতাংশ ব্যক্তির দেহে ৫-৬ মাস পরে তার কার্যকারিতা কমে যায়। ফলে দ্বিতীয় বার সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।”

সম্প্রতি চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন যাঁরা ধূমপান করেন, তাঁদের ফুসফুসের দুরাবস্থার কারণে করোনার প্রভাব মারাত্মক আকার নিচ্ছে। কারণ করোনাভাইরাসের কবলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয় ফুসফুস। সমীক্ষায় দেখা গেছে ধূমপান করার ফলে ফুসফুস অনেকটাই দূর্বল হয়ে পড়ে। তাই করোনা সহজেই ফুসফুসে থাবা বসাতে পারে। তাছাড়াও চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, দীর্ঘদিন ধরে ধূমপান করার ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে আসে। সেক্ষেত্রে সংক্রমিত রোগী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন।

Advt

Previous articleবিজেপির কথায় চলছে কমিশন, তবে জিতছে তৃণমূলই: শেষ নির্বাচনী সভায় আত্মবিশ্বাসী মমতা
Next articleকরোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীকে সেনার তরফে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিলেন বাহিনী প্রধান বিপিন রাওয়াত