শালীনতাবর্জিত ট্যুইট করে ফের আসরে তথাগত, তবুও নীরব বিজেপি

নিশ্চিতভাবেই বার্ধক্যজনিত অসুস্থতা বা Geriatric illness-এ ভুগছেন তথাগত রায়৷ এ ধরনের রোগাক্রান্ত হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়, ৭৫ বছর বয়স হল তাঁর৷ চিকিৎসকদের অভিমত, এই বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় স্মরণশক্তি হ্রাস পায়, শালীনতাবোধ অন্তর্হিত হয়, ডিমেনশিয়া বা বুদ্ধিবৃত্তিক কর্মহীনতা স্পষ্ট হয়৷ তথাগত রায়ের শরীরে ও মনে যে সব উপসর্গ দেখা যাচ্ছে, তাতে ক্রমশই বদ্ধমূল হচ্ছে, তথাগতর ভালো চিকিৎসা প্রয়োজন৷ রোগ বাড়তে দিলে দু’দিন বাদে নিজের পরিচয়ও ভুলে যেতে পারেন৷ মোদি বা শাহ’র উচিত দলের এই কমেডি-আর্টিস্টকে নিয়ে এখনই নিয়ে সিরিয়াসলি ভাবনচিন্তা করা৷

একটি ট্যুইট করেছেন

তথাগত রায়। এই ট্যুইট করার কারণ, কেউ সম্ভবত সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে ‘দাদু’ বলে সম্বোধন করেছিল৷ তার উত্তরেই এই ট্যুইটটি! তাঁকে ‘দাদু’ সম্বোধন করায় বেজায় চটেছেন দাদু হওয়ার বয়সে না পৌঁছানো তথাগত ৷ মাত্র ৭৫ বছরের ‘শিশু’ তথাগত লিখেছেন, “যারা আমাকে ‘দাদু’ সম্বোধন করে তাদেরকে আমার আশীর্বাদ জানাই। শুধু সেই সব নাতি-নাতনিদের কাছে একটা প্রশ্নের উত্তর কিছুতেই পাচ্ছি না। ‘দাদু’ মানে তো বাবার বাবা ও মায়ের বাবা দুই-ই হয়।” আর এর পরই তথাকথিত শিক্ষিত, সংস্কৃতিবান বলে দাবি করা বিজেপি নেতা তথাগতর টুইটে প্রশ্ন, “আমি তাদের মধ্যে কাদের বাবার এবং কাদের মায়ের জন্ম দিয়েছিলাম?”

 

শিক্ষিত বলে দাবি করা ‘দাদু’ গোত্রের কোনও মানুষ ডিমেনশিয়া-য় আক্রান্ত হওয়ার আগে পর্যন্ত এ ধরনের মন্তব্য প্রকাশ্যে করতেই পারেন না৷ অথচ তথাগত অবলীলয় করে দিলেন৷ বিজেপিরই একাধিক নেতার বক্তব্য, চরম হতাশায় ভুগছেন তথাগত রায়৷ রাজ্যপাল পদটি রিনিউ হয়নি, দলের কোনও পদ পাননি, ভোটে টিকিট পাননি, কেউ ওনাকে পাত্তা দেয়না, সব মিলিয়ে ডিপ্রেশনে ভুগছেন৷ সিভিয়র ডিপ্রেশন৷ এটা একটা রোগ৷ এই রোগ জাঁকিয়ে বসেছে ওনার শরীরে৷ এসবই ওনার হতাশার বহিঃপ্রকাশ৷ তবে ৭৫ বছরের কোনও সুস্থ বৃদ্ধকে মানসিকভাবেও আঘাত করা উচিত নয়৷ এসব কথাকে প্রলাপ বলেই উড়িয়ে দেওয়া উচিত৷ দিল্লির নেকনজরে আসার জন্যই তথাগত বারবার বিতর্কিত, অবাঞ্ছিত, অশালীন কথা বলেই চলেছেন৷ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে পর্যন্ত ‘মূর্খ’ বলেছিলেন৷ এই তথাগতকে নিয়ে রাজ্য বিজেপি অনেকবারই বিড়ম্বনায় পড়েছে। তথাগতের এই অশালীন ইঙ্গিতপূর্ণ ট্যুইটের প্রেক্ষিতে নিন্দার ঝড় উঠছে৷ বিজেপিও জড়িয়ে গিয়েছে৷ বারবার বিব্রত হয়েও বঙ্গ বিজেপি কিন্তু সরাসরি কোনও ব্যবস্থাও নিচ্ছে না তথাগত রায়ের বিরুদ্ধে ৷ ফলে এখানেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি তথাগতের যাবতীয় ট্যুইটকে সমর্থন করছেন রাজ্য নেতৃত্ব ?

advt 19

Previous articleব্রেকফাস্ট স্পোর্টস
Next articleআজ জি- ৭ গোষ্ঠীর বৈঠক , তালিবান নিয়ে বাইডেন কী বার্তা দেয় সেদিকে তাকিয়ে বিশ্ব