“গরু-ছাগল নয় যে জোর করে আটকে রাখব”, বিধায়কদের দলবদলে মন্তব্য দিলীপের

ভোটের আগে দলবদলের যে ঢেউ এসে লেগেছিল রাজ্য রাজনীতিতে, সেটাই এখন উল্টো পথে বইতে শুরু করেছে। বিধানসভা নির্বাচনে(assembly election) ৭৭ টি আসনে জয় পেলেও মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই ৭১-এ এসে দাঁড়িয়েছে বিজেপি(BJP)। নিয়ম করে প্রায় প্রতিদিন তৃণমূলে(TMC) যোগ দিচ্ছেন একের পর এক বিজেপি বিধায়ক। এ প্রসঙ্গে রবিবার মুখ খুললেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ(Dilip Ghosh)।

দলবদল প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, “এরাজ্যে দলবদলটা এখন ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে। কিন্তু ওরা তো আর গরু-ছাগল নয় যে জোর করে তাকে আটকে রাখবো।” সরাসরি তিনি জানিয়ে দেন, “কেউ যদি যেতে চান অবশ্যই যেতে পারেন। মুকুল রায় যদি যেতে পারেন তাহলে অন্য যে কেউ যেতে পারেন।” এর পাশাপাশি কিছুটা হতাশার সুরে দিলীপ ঘোষ বলেন, রাজনীতির নিয়মটাই হলো পাল্লা যেদিকে ভারি থাকে সে দিকেই যায়। তবে লড়াই চালিয়ে যেতে তিনি যে পুরোপুরি প্রস্তুত সেটাও জানান এদিন।

আরও পড়ুন:বালুচিস্তানে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ তেহরিক-ই-তালিবানের, মৃত ৩, আহত ২০

উল্লেখ্য, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ২০০ পারের লক্ষ্য নিয়ে ময়দানে নেমেছিল বিজেপি। যদিও ৭৭ এসে আটকে যায় গেরুয়া শিবির। রাজ্যে আপাতত তারা প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা পেলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিধায়ক কমতে শুরু করেছে বিজেপিতে। নিশীথ প্রামাণিক ও জগন্নাথ সরকার বিধায়ক পদ গ্রহণ না করায় বাংলায় বিজেপি বিধায়কের সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ৭৫-এ। এরপর একে একে দল ছেড়েছেন মুকুল রায়, বিষ্ণুপুরের তন্ময় ঘোষ, বাগদার বিশ্বজিৎ দাস, কালিয়াগঞ্জের সৌমেন রায়। তালিকাটা যে এখানেই শেষ হচ্ছে না এ আভাস ইতিমধ্যেই দিয়ে দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের তরফে। এই পরিস্থিতিতে বিজেপির অন্দরে কান পাতলে একটা কথাই শোনা যাচ্ছে, আদি বিজেপিকে উপেক্ষা করে তৃণমূল থেকে আসা নেতাদের দলের টিকিট দেওয়া অত্যন্ত ভুল সিদ্ধান্ত ছিল।

advt 19

 

Previous articleমৃত্যুর আগেই রানির শেষকৃত্য! প্রকাশ্যে ‘অপারেশন লন্ডন ব্রিজ’
Next articleচিকিৎসা সংশ্লিস্ট ৮০ শতাংশ শিক্ষক-শিক্ষার্থী টিকা পেয়েছেন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী