সাধারণতন্ত্র দিবসে(Republic Day) বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স বা বিএসএফের(BSF) পোস্ট করা ভিডিও দেশের বিভিন্ন প্রধান ভাষা গুলিকে ব্যবহার করা হলেও উপেক্ষিত বাংলা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের(Home ministry) অধীনস্থ বিএসএফের বাংলাকে অপমানের এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানালো বাংলা পক্ষ(Bangla Pokkho)।
বিএসএফের অফিশিয়াল ফেসবুক ও টুইটার অ্যাকাউন্টে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, ছত্তিশগড়, পাঞ্জাব, রাজস্থান, গুজরাট, ওড়িশা, অসম, জম্মু ও কাশ্মীরের মতো রাজ্যের বিএসএফ কর্মীরা সকলকে সাধারণতন্ত্র দিবসের শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। এমনকি ওই শুভেচ্ছা বার্তায় পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) একাধিক অঞ্চলকেও দেখানো হয়েছে। কিন্তু ভিডিওতে ব্রাত্য থেকেছে পশ্চিমবঙ্গের নাম ও বাংলা ভাষা। তবে পশ্চিমবঙ্গের পরিবর্তে দেখানো হয়েছে এক ‘কাল্পনিক’ রাজ্যকে, যার নাম উত্তরবঙ্গ। এবং সেখানেও বাংলায় কোনও শুভেচ্ছাবার্তা শোনা যায়নি। স্বাভাবিকভাবেই ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পর প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে কেন বাংলা ভাষা ও পশ্চিমবঙ্গকে ব্রাত্য করা হলো? কেন উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্য হিসেবে দেখানো হলো?
On the eve of Republic Day 2022, from our far-flung deployments, Seema Praharis wish every Indian a Happy Republic Day 2022.
It is an honour to serve & protect the nation even to the peril of our lives.सीमा सुरक्षा बल – सर्वदा सतर्क#JaiHind#RepublicDay2022 pic.twitter.com/LRTNaJecUN
— BSF (@BSF_India) January 25, 2022
গোটা ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলা পক্ষের তরফে প্রেস বিবৃতি প্রকাশ্যে আনা হয়েছে। ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে বাংলা পক্ষের তরফের চিঠি লিখে ভুল স্বীকার করে বাংলা ও বাঙালির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা দাবি জানিয়েছে। পাশাপাশি এই বিভাজনকামী ও ষড়যন্ত্রমূলক ভিডিওর তৈরীর নেপথ্যে মাথাদের বিরুদ্ধে তদন্ত ও আইন অনুযায়ী শাস্তি দাবি করছে।
আরও পড়ুন:বিজেপি হিন্দুত্বের ঠিকাদার নয়: গোয়ায় সরব তৃণমূল নেতা পবন ভার্মা
বাংলা পক্ষের সাধারণ সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায় এ বিষয়ে জানান, বিশ্বে পঞ্চম বৃহত্তম ও ভারতে দ্বিতীয় বৃহত্তম মাতৃভাষা বাংলা। পশ্চিমবঙ্গে সবচেয়ে দীর্ঘ সীমান্ত, পশ্চিমবঙ্গ থেকেই একজন বিএসএফ ওই ভিডিওতে কথা বলছেন, অথচ সেখানে বাংলা ব্রাত্য। এমনকি পশ্চিমবঙ্গের পরিবর্তে উত্তরবঙ্গ নামে এক কল্পিত রাজ্যের কথা বলা হয়েছে, যে নামে কোন রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত এলাকা নেই।
এই ঘটনার পেছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে বাংলা পক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, “এটা বাংলা ও বাঙালির শত্রু হিন্দি সাম্রাজ্যবাদী বিজেপির কেন্দ্রীয় সরকারের বাংলা ভাগের নানা ষড়যন্ত্রের এক জঘন্য প্রকাশ। যেখানে বিএসএফের উপর বসে আছে বাঙালি বিরোধী, বাঙালিকে কাঙালি ও উইপোকা বলা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও “North Bengal” রাজ্য দাবি করা বহু অপরাধমূলক মামলায় অভিযুক্ত বাংলাদেশ থেকে সিএএ ছাড়াই নাগরিক হয়ে গিয়ে আজ ভারতের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর আসনে বসা বিচ্ছিন্নতাবাদী নিশীথ প্রামাণিক। বিজেপি দল তাদের কেন্দ্রীয় ইস্তেহারে পশ্চিমবঙ্গকে টুকরো করার পরিকল্পনা যুক্ত করেছে। পশ্চিমবঙ্গকে টুকরো করতে চাওয়া বিচ্ছিন্নতাবাদী আলুওয়ালিয়া, রাজু বিস্তা, জন বার্লাদের সাংসদ ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বানিয়েছে। বাংলার বিরুদ্ধে এই ধরনের ষড়যন্ত্র যারা চালাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে বাংলা পক্ষ ভারতের সব বাঙালিকে এক হতে ডাক দিচ্ছে।”