এত হারের পরও অহংকার যায় না: সংসদে কংগ্রেসকে ‘অলআউট’ আক্রমণে মোদি

সোমবার সংসদে(parliament) বাজেট অধিবেশনের শেষ দিনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কংগ্রেসকে(Congress) অলআউট আক্রমণ শানালেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি(Narendra Modi)। স্পষ্ট ভাষায় তিনি জানিয়ে দিলেন, দেশের মানুষ আপনাদের চিনে ফেলেছে। এত হারের পরও কংগ্রেসের অহংকার আজও যায়নি। শুধু তাই নয় আগামী ১০০ বছরেও ক্ষমতায় আসার ইচ্ছে নেই, কংগ্রেসের তাদের আচার-আচরণে তা প্রমাণিত হচ্ছে। করোনার দু’বছরে কংগ্রেস নোংরা রাজনীতি করেছে বলেও এদিন তোপ দাগেন নরেন্দ্র মোদি।

এ দিন লোকসভায় রাষ্ট্রপতির বক্তব্যের উপরে জবাবি ভাষণ রাখতে গিয়ে কংগ্রেসকেই নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী৷ তিনি বলেন, “দেশের মানুষ আপনাদের চিনে ফেলেছে। যাঁরা বড় বড় কথা বলেন, তাঁরা ভুলে যান যে ৫০ বছর তাঁরাও দেশ শাসন করেছেন।নাগাল্যান্ড ২৪ বছর আগে কংগ্রেসকে জিতিয়েছিল, ২৮ বছর ধরে গোয়ার মানুষ কংগ্রেসকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। ত্রিপুরায় ৩৪ বছর কংগ্রেস ক্ষমতা থেকে দূরে। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ প্রায় ৫০ বছর আগে কংগ্রেসকে পছন্দ করত। কংগ্রেস সংসদকে সঠিক ভাবে ব্যবহার করলে এই অবস্থা হত না। তামিলনাড়ুতেও ৬০ বছর আগে কংগ্রেসের শাসন ছিল, এতবছর শাসনের পরেও কেন কংগ্রেসকে মানুষ প্রত্যাখ্যান করছে? এতবার হারের পরেও কংগ্রেসের অহংকার যায় না।”

আরও পড়ুন:Rally: সুরসম্রাজ্ঞীকে শ্রদ্ধা জানিয়ে শিলিগুড়িতে পদযাত্রা তৃণমূলের, পা মেলান শিল্পীরা

পাশাপাশি কৃষক বিরোধী বলে বারবার বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে সে প্রসঙ্গে এ দিন কংগ্রেসকে তোপ দাগেন নরেন্দ্র মোদি। সংসদে কংগ্রেসকে কৃষক বিরোধী বলে অভিযোগ করে তিনি। পাশাপাশি আরও বলেন, “ফ্রেট করিডরের মতো যে প্রকল্পগুলি কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের আমলে শুরু হয়েছিল, সেই প্রকল্পগুলির কাজেও ২০১৪ সালের পর থেকে গতি এসেছে৷” মোদির প্রশ্ন, ”এত বছর ক্ষমতায় থাকার পরেও কংগ্রেস কেন চারধামের রাস্তাকে সব ধরনের আবহাওয়াতে যাতায়াতের উপযোগী করার কথা ভাবল না?”

করোনাকালে পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরানোর ব্যবস্থা করেছিল কংগ্রেস। মহারাষ্ট্রে এই সকল অভাবই শ্রমিকদের ট্রেনের টিকিট কেটে দেওয়া হয়েছিল। এর জন্য কংগ্রেসকে দোষারোপ করে সংসদে মোদি বলেন, দেশব্যাপী করোনা ছড়ানো উস্কানি দেওয়া হয়েছে কংগ্রেসের তরফে। এরাই পরিযায়ী শ্রমিকদের টিকিট কেটে বাড়ি পাঠিয়ে করোনা ছড়ানোর ব্যবস্থা করেছিল। ভয়াবহ সেই সময়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের সাহায্যে এগিয়ে আসা মানুষদেরই এদিন আক্রমণ চালাতে দেখা গেল দেশের প্রধানমন্ত্রীকে।

এছাড়াও মোদি সরকারের সাফল্যেরও বিশদে ব্যাখ্যা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী৷ দাবি করেছেন করোনা অতিমারির ধাক্কা সামলে কীভাবে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতিগুলির মধ্যে অন্যতম দ্রুত গতিতে বেড়ে চলেছে ভারত৷ নরেন্দ্র মোদির অবশ্য আক্ষেপের সুরে বলেন, দেশ যখন এত দ্রুত গতিতে উন্নতির পথে এগোচ্ছে, তখন সকাল থেকেই কংগ্রেস নেতারা তাঁর সরকারের বিরোধিতায় নেমে পড়েন৷ প্রধানমন্ত্রী যখন বক্তব্য রাখছেন, তখন বার বার প্রতিবাদে সরব হন অধীররঞ্জন চৌধুরী সহ কংগ্রেস সাংসদরা৷ নরেন্দ্র মোদি অবশ্য কটাক্ষ করে বলেন, ‘যাঁরা ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেন না, তারা নিজেরাই ইতিহাসের গহ্বরে তলিয়ে যান!’

Previous articleযদি পুনর্জন্ম থাকে তবে আর ‘লতা মঙ্গেসকর’ হতে চাই না: ‘সুর সম্রাজ্ঞী’র পুরনো ভিডিও ভাইরাল
Next articleUGC-র প্রস্তাবে কর্মসঙ্কোচনের আশঙ্কায় কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা