Vote: ফের চারে চার: সবুজ ঝড়ে উড়ে গেল গেরুয়া-লাল নিশান, বেহাল কংগ্রেসও

তৃণমূলের ঝোড়ো ব্যাটিং। ধরাশায়ী বিরোধীরা

ফের চারে চার। জোড়া ফুলের দাপটে কার্যত নিশ্চিহ্ন বাম, বিজেপি, কংগ্রেস। বিধাননগর, আসানসোল (Asansole), চন্দননগর (Chandannagar), শিলিগুড়ি (Siliguri) পুরভোটে বিপুল জয় পেয়েছে জোড়া ফুল শিবির। আঁচড় কাটাতে পারেনি বিরোধীরা। কোথাও ১টা, কোথাও ২টো কোথাও সর্বোচ্চ ৫টি আসন নিয়েই খুশি থাকতে হয়েছে বাম, বিজেপি, কংগ্রেসকে।

শিলিগুড়িতে কোনও রকমে লালপতাকাটা ধরে রেখেছিলেন সিপিআইএম (Cpim) নেতা অশোক ভট্টাচার্য (Ashok Bhattacharya)। কিন্তু এবার সবুজ ঝড়ে উড়ে গিয়েছে লাল নিশান। একেবারে গিয়ে পড়েছে তিন নম্বর স্থানে। আর একুশের বিধানসভা নির্বাচনে যে বিজেপি (Bjp) উত্তরবঙ্গে ভালো ফল করেছিল, শিলিগুড়ি নির্বাচনে তাদের দম্ভচূর্ণ। মাত্র পাঁচটা আসন নিয়েই খুশি থাকতে হয়েছে গেরুয়া শিবিরকে।

চন্দননগরে তো খাতাই খুলতে পারেনি বিজেপি। বিধাননগরেও পদ্ম শিবিরের হাত খালি। বিধাননগরের যেখানে ২৯ টি আসন পেয়েছে তৃণমূল, সেখানে টিমটিম করে একটি হাত উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে আছে কংগ্রেস। নির্দল পেয়েছে একটি আসন।

আসানসোলে বিজেপির সংগঠন মজবুত- এমন আত্মশ্লাঘায় ভুগছিলেন রাজ্য নেতৃত্ব। পরে দেখা গেল তৃণমূল যেখানে পেয়েছে ৯০টি আসন, সেখানে ৭ টি আসন নিয়ে বিজেপির খাতা বন্ধ করতে হয়েছে। বামেদের অবস্থা আরও সঙ্গিন। তারা পেয়েছে দুটি আসন। আর কোনও রকমে তিনটি আসন পেয়েছে কংগ্রেস। তবে চন্দননগরে খাতাই খুলতে পারেনি শতাব্দী প্রাচীন দল।

চারটি পুরসভাতেই ভালো শতাংশ ভোট পেয়েছে শাসকদল। দুটিতে দ্বিতীয়তে বামেরা। আর দুটিতে দ্বিতীয়তে রয়েছে বিজেপি। কংগ্রেসের ভোট শতাংশ সাড়ে পাঁচের বেশি এগোয়নি। তাদের থেকে আসানসোল এবং শিলিগুড়িতে এগিয়ে রয়েছেন নির্দল প্রার্থী। ধরাশায়ী বিজেপি। শূন্য থেকে কিছুটা শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়ায় হয়তো আলিমুদ্দিনের অলিন্দ্যে সামান্য স্বস্তি। কিন্তু বিধান ভবনে সেটা হওয়ার কথা নয় বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কারণ, কংগ্রেসের ঝুলি প্রায় খালি।

তৃণমূল (Tmc) নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই জয়ের জন্য মানুষকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। লক্ষ্য বেঁধে দিয়েছেন উন্নয়নের। একই সঙ্গে দলীয় নেতাকর্মীদের বার্তা দিয়েছেন আরো নম্র হওয়ার। জয়ের পরে মানুষের জন্য কাজ করার বার্তা দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। একইসঙ্গে বিদ্ধ করেছেন বিরোধীদেরও। তাঁর কথায় জগাই-মাধাই-গদাই মিলে ভোট করে। কখনো একজন দ্বিতীয় কখনো অন্যজন তৃতীয় হচ্ছে। আগামী ২৭ তারিখ রাজ্যের বাকি পুরসভাগুলিতে ভোটগ্রহণ। স্বাভাবিকভাবেই আজকের ফল আত্মবিশ্বাস অনেক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল শিবিরের। একইসঙ্গে বিরোধীদের সামনে ছুড়ে দিয়েছে চ্যালেঞ্জ।

আরও পড়ুন- School reopen : আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে খুলছে রাজ্যের প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক স্কুল

Previous articleনতুন করে সাজানো হল জাতীয় ক্রিকেট অ‍্যাকাডেমি, ছবি পোস্ট বোর্ড সভাপতির
Next articleডাম্পারের ধাক্কায় মৃত্যুকে ঘিরে রণক্ষেত্র আমতা, স্থানীয়দের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ