রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ফের রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ভোটদান থেকে বিরত থাকল ভারত ও বাংলাদেশ। পাশাপাশি নাগরিকদের সুরক্ষিত এবং বাধাহীন প্যাসেজের আবেদন জানিয়েছে ভারত।ভারতের দাবি, সমস্যা সমাধানের একমাত্র পথ আলোচনা এবং কূটনীতি।রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনকে নিন্দা জানিয়ে রেজুলেশনে ভোট দানে বিরত থেকেছে বাংলাদেশও। এদিনের ১৪১ টি দেশ এই রেজোলিউশনে ভোট দিয়েছে। ভারত সহ ৩৫ টি দেশ ভোটদান থেকে বিরত ছিলেন। ৫ টি দেশ রেজোলিউশনের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে।
আরও পড়ুন:Ukraine Russia: লাগাতার হামলার মাঝেই আজ ফের মুখোমুখি বৈঠকে রাশিয়া-ইউক্রেন
রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি টি এস তিরুমূর্তি বলেছেন, “ইউক্রেনের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন ভারত। দ্রুত পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে। মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে।” তিরুমূর্তির দাবি, “সমস্ত ভারতীয় নাগরিকদের সুরক্ষিত এবং বিনা বাধায় ইউক্রেন ছাড়তে দিতে হবে। এমনকী ভারতীয় পড়ুয়াদেরও। খারকিভ এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত বাকি শহরগুলিতে বহু ভারতীয় পড়ুয়া এখনও আটকে রয়েছেন। অনেকেই তাঁদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন ভারত সরকারের কাছে।” তাঁর দাবি, “রাশিয়া এবং ইউক্রেনের কাছে আমাদের এক এবং একমাত্র দাবি এটাই। পরিস্থিতির গুরুত্ব বিচার করে ভারত ভোটদানে বিরত থাকবে।”নিউইয়র্কে রাষ্ট্রসংঘের সদর দফতরে ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে বিশেষ অধিবেশনে ভোট শেষে দেখা যায় দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ, ভারত ,পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা ভোট দানে বিরত ছিল।
রেজোলিউশনের রাশিয়াকে অবিলম্বে ইউক্রেন থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করার আহ্বান জানানো হয়। এই রেজোলিউশন বাধ্যতামূলক না হলেও গোটা বিশ্বের দেশগুলো পরিস্থিতিকে কীভাবে দেখছে সেটির প্রতিফলন পাওয়া যায়। এর আগে গত সপ্তাহে নিরাপত্তা পরিষদে একই ধরনের একটি রেজোলিউশনে ভেটো ক্ষমতার অধিকারি রাশিয়া বিপক্ষে ভোট দিলে প্রস্তাবটি নাকচ হয়ে যায়। পরবর্তীতে নিরাপত্তা পরিষদ থেকে এটি সাধারণ পরিষদে পাঠানো হয়। গত ৪০ বছরের মধ্যে এই প্রথমবারের মতো নিরাপত্তা পরিষদ থেকে আলোচনার জন্য একটি সমস্যা সাধারণ পরিষদে পাঠানো হয়েছে।