Mamata Banerjee: অন্য মমতা

উত্তরবঙ্গ সফরের দ্বিতীয় দিনে সোমবার দার্জিলিং-এর রাস্তায় সকালে দলীয় কর্মীদের নিয়ে হাঁটতে বেরোন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।মোট ১৫ কিলোমিটার পাহাড়ি রাস্তা অতিক্রমের পথে এদিন মুখ্যমন্ত্রী যা করলেন, তা সত্যিই নজীরবিহীন।

আরও পড়ুন:Mamata Bandyopadhaya:ভাঙচুর-গুন্ডামির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

এর আগেও রাজধর্মের পাশাপাশি মানবিকতার রূপ দেশবাসীর চোখে পড়েছে।আজও  মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই একই ছবি আবারও ফুটে উঠল। সকালে হাঁটতে বেরিয়ে পথচলতি এক বৃদ্ধাকে বেল্ট পরার কথা বলেন তিনি। শুধু তাই নয়,দলীয় কর্মীদের নির্দেশও দেন যাতে তারা বাড়িতে পৌঁছেই বৃদ্ধার বাড়িতে বেল্ট পৌঁছে দেন। অক্লান্ত হাঁটার পথে পাহাড়ের বর্তমান পরিস্থিতির খোঁজখবর নেন তিনি। হাঁটতে হাঁটতে সাধারণ মানুষের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করেন। প্রত্যেকের সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। কে কেমন আছেনই শুধু নয়, তাঁদের সমস্যার কথাও জিজ্ঞেস করেন মুখ্যমন্ত্রী। পাহাড়বাসীর সঙ্গে সঙ্গে বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বেড়াতে আসা পর্যটকরা মুখ্যমন্ত্রীকে এই রূপে দেখে মুগ্ধ।

এরপরই চোখে পড়ে মমতাময়ী মুখ্যমন্ত্রীকে। হাঁটার মাঝেই তিনমাসের একরত্তিকে কোলে তুলে নেন। আশীর্বাদও করেন ছোট্ট অগ্নিকে।  পাশাপাশি পাহাড়ে বেরিয়ে বাচ্চাদের চকোলেট উপহার দেন মমতা।এদিন দলীয় কর্মীদের নিয়ে দার্জিলিং ম্যালে মোট ১৫ কিলোমিটার পাহাড়ি রাস্তা হাঁটেন তিনি । স্থানীয় বিশ্ব বাংলার শোরুমে ঢুকে সেখানকার কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলেন।বিক্রি কেমন হচ্ছে জিজ্ঞেস করা ছাড়াও বেতন ঠিকঠাক হচ্ছে কি না তাও খোঁজ নেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। কর্মচারীদের সঙ্গে আলাপচারিতাও সারেন তিনি। কখনই একবারের জন্যও ক্লান্ত দেখায়নি তাঁকে।

এদিন দলীয় কর্মীদের দার্জিলিংয়ের ভানুভবনের একটি অংশে মিউজিয়াম করার কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি দার্জিলিংয়ে ভাঙা হয়েছে তৃণমূল ভবন। তাই দলীয় কাজের জন্য একটি পুরনো হোটেলকে সাজিয়ে তৃণমূল ভবন তৈরির নির্দেশ দেন তিনি।

Previous articleAssembly: বিধানসভায় বিজেপির ‘নির্লজ্জ’ দাপাদাপি, নাক ফাটল তৃণমূল বিধায়কের, সাসপেন্ড শুভেন্দু-সহ ৫ বিজেপি বিধায়ক
Next articleরণক্ষেত্র বিধানসভা: শুভেন্দুর নেতৃত্বে বেলাগাম হামলা বিজেপির, নাক ফাটল তৃণমূল বিধায়কের