আচমকা বিপ্লব দেবের ইস্তফা। আর তার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই ত্রিপুরার নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে নাম ঘোষণা করা হল বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা রাজ্যসভার সাংসদ মানিক সাহার। তাঁকে নিয়ে রাজভবনে যান সদ্য প্রাক্তন হওয়া বিপ্লব দেব। তবে নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মানিক সাহার নামে চূড়ান্ত সিলমোহর দেওয়ার আগে নাটকীয় ঘটনা ঘটে। মানিক সাহার নাম নিয়ে প্রবল আপত্তি জানায় ত্রিপুরা বিজেপির একাংশ। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মানিকের নাম সবচেয়ে বেশি আপত্তি জানান রাজ্যের মন্ত্রী রামপ্রসাদ পাল। মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে বৈঠকের মধ্যেই প্রবল উত্তেজনা ছড়ায়। আড়াআড়ি বিভাজন দেখা যায় মন্ত্রিসভার সদস্যদের মধ্যে।
.@ramprasadpalBJP, feeling okay?
The entire @BJP4Tripura unit seems to be falling apart!@AITCofficial proves its might yet again!#ShameOnBJP pic.twitter.com/MfZy9vIyQC
— AITC Tripura (@AITC4Tripura) May 14, 2022
যদিও দিল্লির নির্দেশেই শেষপর্যন্ত মানিক সাহাকেই নতুন মুখ্যমন্ত্রী করা হল। এই মানিক সাহা আবার বিপ্লব দেব ঘনিষ্ঠ বলেই ত্রিপুরা রাজ্য রাজনীতি পরিচিত। বিপ্লব দেবের হাত ধরেই মানিক সাহার রাজনীতিতে প্রবেশ। তবে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে নাম উঠে এসেছিল সাংসদ প্রতিমা ভৌমিক এবং উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মার নামও। কিন্তু সবাইকে টেক্কা দিয়ে মানিক সাহা হলেন ত্রিপুরার পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী।
এদিকে শুক্রবার অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক। এবং তারপরই শনিবার মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে আচমকা ইস্তফা দেন বিপ্লব দেব। জানা গিয়েছে, অমিত শাহের নির্দেশেই ইস্তফা দেন বিপ্লব। তবে বিধানসভা নির্বাচনের মাত্র ১০ মাস আগে এভাবে বিপ্লব দেবের ইস্তফা কিন্তু রাজনৈতিক মহলে প্রবল জল্পনা তৈরি করেছে। কোনও কোনও অংশ থেকে মনে করা হচ্ছে, বিপ্লব দেব মেয়াদ উত্তীর্ণ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকলে বিধানসভার আগে প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া প্রবল হত ত্রিপুরায়। সেটা হতে দিতে চায়নি বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব।
অন্যদিকে, ত্রিপুরার যে অংশ সংগঠন মজবুত করছে তৃণমূল কংগ্রেস, সেই পূর্ব ত্রিপুরারই জনপ্রিয় নেতা বলে পরিচিত স্বচ্ছ ভাবমূর্তির মানিক সাহাকেই মুখ্যমন্ত্রী পদে বসিয়ে মাস্টারস্ট্রোক দিতে চাইলে বিজেপি।
আরও পড়ুন- রোজ ভোরে উধাও কয়েক লক্ষ টাকার পাইপ ! পুরকর্মীর তৎপরতায় ধৃত পাঁচ