বুলডোজার দিয়ে বাড়ি ভাঙার বিরোধিতায় এলাহাবাদ হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি

বুলডোজার দিয়ে এভাবে বাড়ি ভাঙার বিরুদ্ধে এলাহাবাদ হাইকোর্ট, মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছে।আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অভিযুক্তের বাড়ি এভাবে বুলডোজার দিয়ে ভাঙা কোনও দিক দিয়েই আইনসম্মত নয়।

আঙুল উঠছে যোগী সরকারের (Uttar Pradesh Government) দিকে। আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নিজের মর্জি মতো রাজ্য চালাচ্ছেন আদিত্যনাথ সরকার(Yogi Adityanath Government)। এবার মুখ খুললেন এলাহাবাদ হাইকোর্টের (Allahabad highcourt) প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি। প্রয়াগরাজে হাঙ্গামার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মহম্মদ জাভেদের (Md Javed) বাড়ি ভেঙে দিয়েছে প্রশাসন। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করলেন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি (Chief Justice)।

জাভেদের বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছে যোগী সরকার। সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরাবন্দি হয়েছেন সে দৃশ্য। দেশজুড়ে উত্তর প্রদেশের সরকারের বিরুদ্ধে উঠেছেন নিন্দার ঝড়।এই ঘটনাকে সহজ ভাবে দেখছেন না রাজনীতিবিদরা। ইতিমধ্যেই জল গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। বুলডোজার দিয়ে এভাবে বাড়ি ভাঙার বিরুদ্ধে এলাহাবাদ হাইকোর্ট, মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছে।আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অভিযুক্তের বাড়ি এভাবে বুলডোজার দিয়ে ভাঙা কোনও দিক দিয়েই আইনসম্মত নয়। এবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন এলাহাবাদ হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি গোবিন্দ মাথুর। বুলডোজার চালিয়ে শক্তি প্রয়োগ করে বাড়ি ভাঙার মধ্যে দিয়ে l নাগরিকের মৌলিক অধিকার খন্ড করা হয়েছে। তাই দায়ের হয়েছে মামলা। গোবিন্দ মাথুর বলছেন, এটা সম্পূর্ণ আইন বিরোধী কাজ। যদি মনেও হয় যে ওই বাড়িগুলো সম্পূর্ণ বেআইনি, তবুও এভাবে বুলডোজার দিয়ে বাড়ি ভাঙা যায় না। কারণ, অভিযুক্ত হেফাজতে রয়েছে। এটা আইনি প্রশ্নের ব্যাপার।

বেছে বেছে কেবল নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের মানুষদের বাড়িই বুলডোজার দিয়ে ভাঙা হচ্ছে। পাশাপাশি, বহু জায়গায় নোটিস দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, উত্তর দেওয়ার সময়সীমা মানা হয়নি। তার আগেই বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়েছে বাড়ি। আর এই ঘটনার জেরেই  উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এই কাজ করা হচ্ছে বলে আদিত্যনাথের সরকারের দিকে অভিযোগের আঙুল উঠছে।



Previous articleকেন্দ্রকে ‘জনমত সমীক্ষা’ বন্ধ-‘এক আসন এক প্রার্থী’ প্রস্তাব EC-র
Next articleIndian Football: মঙ্গলবার সুনীলদের সামনে হংকং, প্রথম একাদশ বাঁছতে মাথাব‍্যথা স্টিমাচের