বৈবাহিক ধর্ষ*ণের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ! ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কেন্দ্রের কাছে সুপ্রিম-জবাব তলব

তবে এরপরই কেন্দ্র জানায়, বৈবাহিক ধর্ষণ নিয়ে মত পুনর্বিবেচনা করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের বর্তমান অবস্থান জানতে চেয়ে জবাব তলব করল দেশের শীর্ষ আদালত।

বৈবাহিক ধর্ষণ (Marital Rape) ইস্যুর সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ (Challenge) করে এবার শীর্ষ আদালতে (Supreme Court of India) দাখিল করা পিটিশনের জবাব দিতে বলা হল কেন্দ্রকে। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কেন্দ্রকে জবাব দিতে বলা হয়েছে। সোমবার সুপ্রিম কোর্টে এই মামলাটি উঠলে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানান, সমাজে এই ইস্যুটির গভীর প্রভাব পড়বে। কয়েক মাস আগে রাজ্যগুলিকে এই বিষয়ে তাদের মতামত জানানোর জন্য বলেছিল কেন্দ্র। এর আগে ২০১৭ সালে আদালতে হলফনামা দিয়ে বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধ বলে গণ্য করার বিরোধিতা করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। তবে এরপরই কেন্দ্র জানায়, বৈবাহিক ধর্ষণ নিয়ে মত পুনর্বিবেচনা করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের বর্তমান অবস্থান জানতে চেয়ে জবাব তলব করল দেশের শীর্ষ আদালত।

শীর্ষ আদালতের তরফে জানানো হয়েছিল, ভারতীয় সংবিধানের ৩৭৫ ধারা অনুযায়ী বৈবাহিক ধর্ষণ সংক্রান্ত ‘ব্যতিক্রমে’র আইনি বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যে পিটিশন দাখিল হয়েছে, তার শুনানি হবে জানুয়ারি মাসে। সেই মতো সোমবার মামলাটি ওঠে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় (D Y Chandrachud ) ও বিচারপতি পিএস নরসিমার ডিভিশন বেঞ্চে। এদিকে সম্প্রতি বৈবাহিক ধর্ষণ নিয়ে কর্ণাটক হাই কোর্ট (Karnataka High Court) এবং দিল্লি হাই কোর্ট (Delhi High Court) যে রায় দিয়েছে, সেগুলিরও বৈধতা খতিয়ে দেখার আবেদন দেশের শীর্ষ আদালতে জানানো হয়েছে। এই সংক্রান্ত আবেদনের শুনানি হবে সর্বোচ্চ আদালতে।

এর আগে বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ভিন্ন রায় দিয়েছিল দিল্লি হাই কোর্ট। এরপরই এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটি আপিল দায়ের করা হয়। এর আগে বহুদিন ধরেই দিল্লি হাই কোর্টে বৈবাহিক ধর্ষণ নিয়ে মামলা চলেছিল। তবে উচ্চ আদালতের বেঞ্চ সর্বসম্মতিক্রমে কোনও রায় দিতে পারেনি। এদিকে এই সংক্রান্ত মামলার পরিপ্রেক্ষিতে কর্ণাটক হাই কোর্টের তরফে বলা হয়েছিল, এই ধরনের অসাম্যের অস্তিত্ব নিয়ে চিন্তা করার দায়িত্ব যারা আইন প্রণয়ণ করেছেন তাঁদেরই। যুগে যুগে স্বামীর পোশাক পরিধানকারী পুরুষ নিজেদের স্ত্রীর দেহ, মন ও আত্মার শাসক হিসেবে দেখে আসছে। প্রচলিত এই চিন্তাধারা ও প্রথা মুছে ফেলা উচিত।

 

 

Previous articleদিলীপ ঘোষের প্রোমোশন পাওয়া উচিত, তীব্র কটাক্ষ কুণালের
Next articleবড়সড় আর্থিক প্রতারণার কবলে উসেন বোল্ট