প্রয়াত ইতালীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী জিনা লোলোব্রিজিদা

প্রয়াত ইতালীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী জিনা লোলোব্রিজিদা। সোমবার রোমের একটি চিকিৎসালয়ে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে ইতালীয় চলচ্চিত্রে তাঁর আবির্ভাব যেন এক নতুন যুগের সূচনা করেছিল। তখনকার গণমাধ্যমে তাঁকে বাসনার মূর্তরূপ বলে বর্ণনা করা হত। ১৯৫০ এবং ‘৬০-এর দশকের বিনোদন পত্রিকা প্রায়শই তাঁকে উল্লেখ করত ‘বিশ্বের শ্রেষ্ঠ সুন্দরী’ হিসাবে।

আরও পড়ুন:মিড ডে মিল কেন্দ্র পরিদর্শনে রাজ্যের প্রতিনিধি দল! বরখাস্ত মালদহের প্রধান শিক্ষক

সোমবার সর্বপ্রথম জিনার মৃত্যুর খবর জানান ইতালীর কৃষিমন্ত্রী ফ্রাঞ্চেস্কো লোলোব্রিজিদা । টুইট করে তিনি একথা জানান। প্রসঙ্গত, ফ্রাঞ্চেস্কো জিনার প্রপৌত্র। পরে সে দেশের সংস্কৃতি মন্ত্রী জেনারো স্যাঙ্গিউলিয়ানো নিজের সমাজমাধ্যমের পাতায় জিনার মৃত্যুতে শোক জ্ঞাপন করেন।

২৪টিরও বেশি ইউরোপীয় চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন জিনা। তাঁর প্রথম ইংরেজি ছবি ছিল ১৯৫৩ সালে জন হুস্টনের পরিচালনায় ‘বিট দ্য ডেভিল’। সেখানে তিনি হামফ্রে বোগার্টের বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন। জিনা অভিনয় করেছেন ফ্রাঙ্ক সিনাত্রা বা অ্যান্টনি কুইনের মতো কিংবদন্তিদের সঙ্গেও। ১৯৬১ সালে রোম্যান্টিক কমেডি ‘কাম সেপ্টেম্বর’-এ রক হাডসনের বিপরীতে তাঁর অভিনয় গোটা বিশ্বেরই মন জয় করে নিয়েছিল বলে জানা যায়।

সিনেমার জগৎ থেকে সরে এসে পরে জিনা পা রাখেন আলোকচিত্রের জগতে। আলোকচিত্রী হিসাবে বেশ খ্যাতিও পান এক সময়ে। ১৯৭৩ সালে তাঁর প্রথম আলোকচিত্রের বই প্রকাশিত হয়। যার নাম ‘ইতালিয়া মিয়া’। সেই গ্রন্থে ইটালির জনজীবনের কড়চাকে মূলত সাদা-কালোয় ধরে রেখেছিলেন জিনা। এক সময়ে রাজনীতির অঙ্গনেও প্রবেশ করেছিলেন তিনি।

১৯৬১-এ তিনি গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার পান। ১৯৯৩ সালে তিনি ফরাসি সরকারের সর্বোচ্চ সম্মান লিজিয়ঁ দ্য ন্যর লাভ করেন।

 

Previous articleগোটা দেশে মডেল সেই মমতা-ই, এবার “লক্ষ্মীর ভাণ্ডার”র অনুকরণে প্রকল্প ঘোষণা প্রিয়াঙ্কার
Next articleমমতার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে রাজ্যের আরও ৮ লক্ষ মহিলার অন্তর্ভুক্তি