শীতলকুচিতে তৃণমূল সদস্যের বাড়িতে ঢুকে কু*পিয়ে খু.ন! মৃ*ত পরিবারের ৩ জন

বাড়ির ভেতরেই ঘুমোচ্ছিলেন দুই মেয়ে বাবা ও মা। আচমকাই দুষ্কৃতীরা ঢুকে পড়ে বাড়ির ভেতরে। চুরির উদ্দেশে নয়। দম্পতি ও তাঁর দুই মেয়ের উপর ধারালো অস্ত্রের কোপ বসিয়ে দেয় তারা। চিৎকার শুনে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। কিন্তু ততক্ষণে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় চারজনকেই হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

আরও পড়ুন:৫০ ঘণ্টা পার! কুড়মি আন্দোলনের জেরে আজও বাতিল বহু ট্রেন, দুর্ভোগে নিত্যযাত্রীরা
ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহারের শীতলকুচিতে। নৃশংস এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে। এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী।

কোচবিহারের শীতকুচির হাসপাতাল পাড়া এলাকার বাসিন্দা ওই তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা নীলিমা বর্মণ। তাঁর স্বামী বিমল বর্মন এসসি-এসটি সেলের ব্লক সভাপতি। দুই মেয়েকে নিয়ে সেখানেই থাকতেন দম্পতি। শুক্রবার ভোর রাতে তাঁর বাড়ি থেকে আর্তনাদ শুনতে পান প্রতিবেশীরা। ছুটে গিয়ে তাঁরা দেখেন, রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরে পড়ে রয়েছেন পঞ্চায়েত সদস্য ও তার পরিবারের সদস্যরা। তড়িঘড়ি তাঁদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় মাথাভাঙা হাসপাতালে। সেখানেই পঞ্চায়েত সদস্য ও তাঁর স্বামীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। চিকিৎসা শুরুর পর মৃত্যু হয় এক মেয়ের। হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে একজন। খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে যান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। গোটা ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই সন্দেহভাজন কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে বলে খবর।


স্থানীয়দের একাগশ জানিয়েছেন, কয়েকদিন ধরেই দম্পতির দুই মেয়েকে উত্যক্ত করছিল পাড়ার কয়েকজন যুবক। তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে চাননি পঞ্চায়েত সদস্যের দুই মেয়ে। সেই থেকেই কী খুন? নাকি আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূলের সদস্যদের উপর হামলা চালাল বিরোধীরা? খুনের নেপথ্যেই বা কারা রয়েছে? এ নিয়ে স্পষ্ট করে কিছুই জানায়নি পুলিশ।

 

 

Previous articleBreakfast news : ব্রেকফাস্ট নিউজ
Next articleমমতার সততার মূর্ত প্রতীক, ইটভাটায় কাজ করে সংসার চালান পঞ্চায়েত প্রধান