৭০ ঘণ্টা পরে শেষে খেজুর গাছের নীচে অক্ষত জীবনের দ্বিতীয় মোবাইল!

টানা ৬৫ ঘণ্টা জেরার পর সিবিআই গ্রেফতার করেছে মুর্শিদাবাদের বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে। পুকুর ছেঁচে প্রথম মোবাইলটি উদ্ধার হলেও, মিলছিল না দ্বিতীয় মোবাইল। সোমবার বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ পুকুর পাড়ের কাছে খেজুর গাছের নীচ থেকে মিলল দ্বিতীয় ফোনটি। স্থানীয় সঞ্জীব বাগদি নামে এক ব্যক্তি সেটি উদ্ধার করেন।জানা গিয়েছে, সম্পূর্ণ অক্ষত অবস্থায় কালো রঙের ওই মোবাইলটি উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধার হওয়ার সময় সেটি সাদা প্লাস্টিকের প্যাকেটে মোড়া ছিল। প্যাকেটের উপরে রয়েছে সিজার লিস্ট নম্বর।কারণ, ছুড়ে ফেলে দেওয়ার আগে এই মোবাইলটি বাজেয়াপ্ত করেছিল সিবিআই।

দ্বিতীয় ফোনের খোঁজে রবিবার বিকেল নাগাদ জেসিবি মেশিন আনায় সিবিআই। সঙ্গে ছিল মাটি বহনকারী একটি ট্র্যাক্টর।এরপর নিয়ে াসা হয় প্লাস্টিকের বড় বস্তা। উৎসাহীরা তখনও বুঝে উঠতে পারেননি আগামী কয়েক মিনিটের মধ্যে ঠিক কী ঘটতে চলেছে। জেসিবি আসার সঙ্গে সঙ্গে পুকুরের চার পাশে ভিড় জমিয়েছিল উৎসাহীরা। সবার সামনেই শুরু হয় ‘সিবিআই অপারেশন’।

প্রথমে জেসিবি মেশিনের সাহায্যে পুকুর থেকে কাদা তোলা হয়। সেই কাদা ট্র্যাক্টারে ভরে সেটি নিয়ে যাওয়া হয় বিধায়কের বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি ফাঁকা জায়গায়। বিশাল একটি প্লাস্টিকের ব্যাগে ঢালা হয় কাদা। অন্য দিকে, পাম্প চালিয়ে সেই কাদাভর্তি প্লাস্টিকের বস্তায় আবার জল ভরা হয়।আসলে এ ভাবে কাদার ঘনত্ব কমিয়ে পাঁকে ডুবে থাকা মোবাইল খোঁজার চেষ্টা করতে থাকেন গোয়েন্দারা। তার পরেও ফোনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। শেষমেশ পুকুরপাড়ে খেজুর গাছের তলা থেকে সেটি উদ্ধার হল। ওই মোবাইলটিকে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য হায়দরাবাদে পাঠানো হবে। আর কোনও সামগ্রী উদ্ধার হয় কিনা, তা খতিয়ে দেখতে ওই পুকুরটিতে এখনও চলছে লাগাতার তল্লাশি। সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা আরও কিছু তথ্য পাওয়া যায় কিনা তাই খতিয়ে দেখছেন।তাদের প্রাথমিক অনুমান, পুকুরের পাঁক থেকে আরও তথ্য মেলার সম্ভাবনা।

 

Previous articleরাহুল সরব হতেই জাতিসুমারির দাবিতে মোদিকে চিঠি খাড়গের
Next articleযৌথমঞ্চের আশ্রয়দাতা হিন্দু মহাসভা! লক্ষাধিক টাকার রসিদ প্রকাশ্যে এনে বিস্ফো.রক কুণাল