মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে সিঙ্গুরে পূর্বভারতের বৃহত্তম সব্জি মান্ডি, দেড় লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান

৭৫০ কোটি টাকার এই প্রকল্পের উদ্যোক্তা গ্রেটার কলকাতা ফ্রুট, পটাটো, অনিয়ন, ভেজিটেবল অ্যান্ড লেমন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন। এই শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো গড়ে দেবে রাজ্য সরকার। প্রকল্পের জন্য মোট ৩৪০ বিঘা জমি নির্দিষ্ট করা হয়েছে

সিঙ্গুরের কৃষিজমি রক্ষা আন্দোলন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বর্ণময় রাজনৈতিক জীবনের একটি উজ্জ্বল অধ্যায়। সিঙ্গুরের জমি আন্দোলন-ই পরবর্তীতে ভূমি আন্দোলনে অনুঘটকের কাজ করেছিল। বাকিটা ইতিহাস। রাজ্যে রাজনৈতিক পালাবদলের অন্যতম মাইলস্টোন সিঙ্গুর কৃষিজমি আন্দোলন। এক সময়ের বিরোধী আন্দোলনের পীঠস্থান সেই সিঙ্গুরেই এবার গড়ে উঠতে চলেছে পূর্ব ভারতের সবচেয়ে বড় সব্জি মান্ডি।

শিল্প গড়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল আগেই এবার যুক্ত হচ্ছে সর্ববৃহৎ পাইকারি সব্জি বাজারের প্রকল্প। পাইকারি বাজার তৈরির জন্য চিহ্নিত জমি ইতিমধ্যেই ঘুরে দেখেছেন উদ্যোগপতিরা। রাজ্যের কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচরাম মান্না ও তাঁর দফতরের আধিকারিক এ সুব্বা‌ইয়াও দফায় দফায় পরিকল্পনা নিয়ে বৈঠক করেছেন সংশ্লিষ্ট উদ্যোগপতিদের সঙ্গে। প্রায় ৮০০ ছোটবড় কৃষিপণ্য ব্যবসায়ী এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন। এক বিশাল পরিকাঠামো দ্রুত সিঙ্গুরের ইন্দ্রখালিতে মাথা তুলবে। উদ্যোগপতিরা জানিয়েছেন, সব্জি ব্যবসার ওই হাবের মধ্যে একটি হিমঘর, দমকল কেন্দ্র, ছোট হাসপাতাল, পেট্রল পাম্প, বিদ্যুৎ সাবস্টেশন, পার্কিং জোন ও গেস্ট হাউস থাকবে। রাজ্যের পাশাপাশি দেশের সমগ্র পূর্বাঞ্চলের সব্জি ব্যবসার প্রাণকেন্দ্র হবে সিঙ্গুর। আগামী দেড় বছরের মধ্যে প্রকল্প চালু হয়ে যাবে।

নবান্ন সূত্রে খবর, ৭৫০ কোটি টাকার এই প্রকল্পের উদ্যোক্তা গ্রেটার কলকাতা ফ্রুট, পটাটো, অনিয়ন, ভেজিটেবল অ্যান্ড লেমন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন। এই শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো গড়ে দেবে রাজ্য সরকার। প্রকল্পের জন্য মোট ৩৪০ বিঘা জমি নির্দিষ্ট করা হয়েছে। পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হওয়ার পর অন্তত দেড় লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান নিশ্চিত হবে বলে সরকার ও উদ্যোক্তাদের তরফে দাবি করা হয়েছে।
এই বিরাট উদ্যোগের ফলে সব্জি চাষি ও ব্যবসায়ীরা উপকৃত হবেন। সব্জির বড় বড় গাড়িকে আর কলকাতায় ঢুকতে হবে না।

মন্ত্রী বেচারাম মান্না বলেন, “সিঙ্গুরে শিল্প স্থাপনের নামে অতীতে বামেরা সর্বনাশা কর্মকাণ্ড করেছে। আর এখন বিজেপি কুমীরের কান্না কাঁদছে। কিন্তু আসল কাজটা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। তাঁর পরিকল্পনায় ৭৫০ কোটি টাকার প্রকল্প হচ্ছে।”

আরও পড়ুন- কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ একটাই বঙ্গ: অভিষেক, কোচবিহারে জনজোয়ার

 

Previous articleযৌন হেনস্তার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ মহিলা কুস্তিগিররা
Next articleফের যোগীরাজ্যে কু.পিয়ে খু.নের অভিযোগ! চরম নৃ.শংসতার সাক্ষী রাজধানী শহরও