কেকেআর ম‍্যাচে ইডেনে আটকে দেওয়া হল সবুজ-মেরুন সমর্থকদের, ক্ষোভ প্রকাশ মোহনবাগানের

আর এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ মোহনবাগান কর্তৃপক্ষ। রবিবার এ নিয়ে বিবৃতি দিল মোহনবাগান ক্লাব। এই নিয়ে মোহনবাগানের পক্ষ থেকে বলা হয়, "কেকেআর ম্যানেজমেন্ট মোহনবাগান সমর্থকদের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করেছেন।"

কলকাতা নাইট রাইডার্সের ইডেনে ঢুকতে পারলেন না মোহনবাগান সমর্থকরা। শনিবার ছিল কেকেআর বনাম লখনৌ সুপার জায়ান্টসের ম্যাচ। সেই ম‍্যাচেই ঘটেছে এই ঘটনা। এমনটাই অভিযোগ মোহনবাগান সমর্থকের।

লখনৌ সুপার জায়ান্টসের কর্তারা শনিবারের ম্যাচে সবুজ-মেরুন জার্সি পরে মাঠে নামার কথা ঘোষণা করেন। মূলত মোহনবাগানকে সম্মান জানাতেই এই জার্সি পরে নামার সিদ্ধান্ত নেয় লখনৌ। এই ঘোষণা করার পর থেকেই বাড়তি একটা আবেগ কাজ করছিল মোহনবাগান সমর্থকদের মধ্যে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে মোহনবাগান সমর্থকদের কাছে খলনায়ক হয়ে গেলেন ইডেনের স্টেডিয়ামের নিরাপত্তারক্ষীরা। অভিযোগ উঠল, লখনৌ সবুজ-মেরুন জার্সি পরে খেলতে নামা সত্ত্বেও, মোহনবাগান সমর্থকরা কেন সেই জার্সি পরে খেলা দেখতে যেতে পারবেন না? এ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সবুজ-মেরুন ফ্যানরা।

শনিবারের ম্যাচে মোহনবাগানের জার্সি পরে মাঠে প্রবেশ করার চেষ্টা করেন অনেকেই। এমনকী একটি ফ্যান ক্লাব ম্যাচ শুরুর আগে সঞ্জীব গোয়েঙ্কাকে ধন্যবাদ জানিয়ে রীতিমতো মিছিল করে ইডেনে ঢোকার চেষ্টা করেন। কিন্তু মাঠে প্রবেশ করার সময় তাঁদের বাধা দেওয়া হয় বলেই অভিযোগ। বলা হয়, মোহনবাগানের লোগো পরে গ্যালারিতে যাওয়া নিষিদ্ধ। এমনকী মোহনবাগানের পতাকা, স্কার্ফ নিয়েও অনেক সমর্থককে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় বলেই অভিযোগ করেছেন সবুজ-মেরুন সমর্থকরা। সমর্থকদের অভিযোগ, পুলিশ নয়, কেকেআর কর্তৃপক্ষই এই নিয়ম চালু করেছে। যার ফলে পতাকা, স্কার্ফ বাইরে রেখেই অনেক সমর্থককে মাঠে ঢুকতে হয়েছে। জার্সি খুলেই স্টেডিয়ামে ঢুকতে পেরেছেন সমর্থকরা। এর জেরে কেকেআর ম্যানেজমেন্টের ওপর রেগে লাল মোহনবাগান সমর্থকরা।

আর এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ মোহনবাগান কর্তৃপক্ষ। রবিবার এ নিয়ে বিবৃতি দিল মোহনবাগান ক্লাব। এই নিয়ে মোহনবাগানের পক্ষ থেকে বলা হয়, “কেকেআর ম্যানেজমেন্ট মোহনবাগান সমর্থকদের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করেছেন।” এরপরই মোহনবাগান সমর্থকদের ভাবাবেগে আঘাত নিজের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে দেবাশিস দত্ত আরও জানান, “১৯৯০ সাল থেকে ফিফা বিশ্বকাপ সহ, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে মোহনবাগানের জার্সি পরে খেলা দেখতে গিয়েছি। কোথাও কোনও বাধার মুখে পড়তে হয়নি আমায়। কেকেআর ম্যানেজমেন্ট যা করেছে, তা জাতীয় ক্লাবের সম্মানহানির সমান। এবং এতে সাধারণ মোহনবাগান সমর্থকদের ভাবাবেগে আঘাত লেগেছে।”

আরও পড়ুন:ফুটবল ম্যাচ চলাকালীন ভয়াবহ দু.র্ঘটনা, মৃ.ত্যু হল অন্তত ১২ জনের


 

Previous articleআগুয়েরোর অ্যাকাউন্ট ফিরিয়ে দিল ‘টুইচ’
Next articleUttarpara: কলেজ ছাত্রীদের সঙ্গে অভব্য আচরণ, আক্রা*ন্ত প্রতিবাদী