এনসিপিতে ভাঙন: সুপ্রিয়াকে ছেঁটে অজিত গোষ্ঠীর ব্যানারেও শরদের মুখ

মহারাষ্ট্রে(Maharastra) রাজনৈতিক সংকট অব্যাহত। শিবসেনায়(Shivsena) ভাঙনের পর এবার এনসিপি। দলে ভাঙনের পর বুধবার বিধায়কদের নিয়ে আলাদা আলাদা ভাবে বৈঠকে কাকা শরদ পাওয়ার ও ভাইপো অজিত পাওয়ার(Ajit Pawar)। তবে শরদ পাওয়ারের(Sharad Pawar) মঞ্চে দেখা গেল মাত্র ১৩ জন বিধায়ককে। অন্যদিকে বান্দ্রার এমইটি কলেজ অডিটোরিয়ামে শুরু হয়েছিল অজিত শিবিরের সম্মেলন। সেখানে ৩১ জন বিধায়ককে ১০০ টাকার ‘স্ট্যাম্প পেপার’-এর হলফনামায় সই করিয়ে সমর্থনের অঙ্গীকার করালেন অজিত। পাশাপাশি অজিত গোষ্ঠীর দাবি, তাঁদের শিবিরে রয়েছেন ৪০ জন নেতা। তাৎপর্যপূর্ণভাবে দুই সম্মেলনের ব্যানারেই ছিল বড় বড় করে শরদ পাওয়ারের ছবি।

কার শিবিরে কত বিধায়কের সমর্থন রয়েছে বুধবার এনসিপিতে ছিল সেই শক্তি পরিক্ষার দিন। নরিম্যান পয়েন্টে যশবন্ত রাও চৌহান সেন্টারে শরদ শিবিরের বৈঠক বসে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মাত্র ১৩ জন বিধায়ক। শরদ শিবিরের বৈঠকের ঘন্টাখানেক পর দুপুর পৌনে ১টা নাগাদ সম্মেলনের মঞ্চে আরও কিছু বিধায়ককে নিয়ে পৌঁছন অজিত। অজিত গোষ্ঠীর মঞ্চে সবচেয়ে বড় ছবি ছিল শরদেরই। তার পর অপেক্ষাকৃত ছোট অবয়বে অজিত, প্রফুল্ল পটেল, ছগন ভুজবল এবং সুনীল তটকরে। অজিত শিবিরের অন্য মন্ত্রী এবং কয়েক জন বিধায়কের সারিবদ্ধ মুখের ছবিও দেখা গিয়েছে মঞ্চে। শরদের নামে জয়ধ্বনি করে মন্ত্রী ছগন বলেন, ‘‘শরদজি আমাদের গুরু। তাই আমরা গুরুদক্ষিণা দিয়েছি। ওঁর ভাইপোকে উপমুখ্যমন্ত্রী বানিয়েছি।’’ বক্তৃতায় অজিতের মন্তব্য, ‘‘শরদ পাওয়ার আমাদের নেতা। আমাদের অনুপ্রেরণা।’’

তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে কোনও মঞ্চেই ছিল না শরদ-কন্যা সুপ্রিয়া সুলের ছবি! গত ২৮ জুন মুম্বইয়ে এনসিপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকের মঞ্চে শরদের পাশাপাশি, দলের দুই সদ্য নিযুক্ত কার্যনির্বাহী সভাপতি সুপ্রিয়া সুলে এবং প্রফুল্ল পটেলের ছবি ছিল। কিন্তু বাদ পড়েছিলেন অজিত। গত সপ্তাহের ওই ঘটনাই এনসিপি এবং পওয়ার পরিবারের অন্দরের ফাটল আরও চওড়া করে বলে দলের একটি সূত্রের খবর। বারামতীর সাংসদ সুপ্রিয়াকে অবশ্য বুধবার শরদ-গোষ্ঠীর বৈঠকে সক্রিয় ভূমিকায় দেখা গিয়েছে। সেই সঙ্গে শরদের নাতি তথা এনসিপি বিধায়ক রোহিত পওয়ারকেও দেখা গিয়েছে আয়োজকের ভূমিকায়।

মহারাষ্ট্র বিধানসভায় এনসিপির বিধায়ক সংখ্যা ৫৩। দলত্যাগ বিরোধী আইন এড়াতে অজিত গোষ্ঠীর প্রয়োজন ৩৬ জন বিধায়কের সমর্থন। তা এখনও তাঁদের রয়েছে কি না, তা নিয়ে জল্পনা চলছে। শরদ গোষ্ঠীর অভিযোগ, ইডি-সিবিআইয়ের ভয় দেখিয়ে বিধায়কদের বন্দি বানিয়েছে অজিত শিবির। ঘটনাচক্রে, মঙ্গলবার রাতে অজিতকে ছেড়ে শরদ শিবিরে ফিরে আসা দুই এনসিপি বিধায়ক কিরেন লহমাটে এবং অশোক পওয়ারও বুধবার ‘চাপ তৈরির’ অভিযোগ তুলেছেন বিজেপির বিরুদ্ধে। এরই মধ্যে অজিত গোষ্ঠীকে যাতে একতরফা ভাবে এনসিপির নির্বাচনী প্রতীক ‘ঘড়ি’ দেওয়া না হয়, সে জন্য নির্বাচন কমিশনে হলফনামা দিয়েছে শরদ শিবির।

Previous articleবাড়ল অন্তর্বর্তী রক্ষাকবচের মেয়াদ! ‘সুপ্রিম স্বস্তি’-তে সমাজকর্মী তিস্তা শীতলাবাদ
Next articleবিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে স.হবাস, নওশাদের বিরুদ্ধে থানায় ধ.র্ষণের অভিযোগ তরুণীর