সবারে করি আহ্বান: কথায়-গানে দুবাইয়ে প্রবাসী-মঞ্চ মাতালেন মমতা


কুণাল ঘোষ
মুখ্যমন্ত্রীর সফরসঙ্গী

দুবাই: মাদ্রিদ থেকে বার্সেলোনা হয়ে দুবাই। একাধিক সফল শিল্প সম্মেলনের পর শুক্রবার সন্ধেয় প্রবাসীদের অনুষ্ঠানে কথায়-গানে অনুষ্ঠান মঞ্চ মাতালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুবাইয়ের অনুষ্ঠানে তুলে ধরলেন ভারতের বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের ছবি। বললেন, ‘সারে জাঁহা সে আচ্ছা, হিন্দুস্থান হামারা’।

এদিন অনুষ্ঠানের শুরুতেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গানের আরবি অনুবাদ মঞ্চস্থ করেন গায়ক জয় চক্রবর্তী। তাঁর বন্দিশের প্রশংসা করেন মমতা। বাংলার রশিদ খান থেকে নচিকেতা চক্রবর্তীর নাম উল্লেখ করে রাজ্যের শিল্প-সাহিত্য-সঙ্গীতের ঐতিহ্য তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সেন্ট জেভিয়ার্সের প্রাক্তনী সমিতির সদস্যকে শুভেচ্ছা জানান মুখ্যমন্ত্রী। জানান, তিনিও প্রাক্তনী সমিতির সাম্মানিক পদে আছেন। ভোরা কমিটি মেম্বারদের স্বাগত জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

প্রবাসীদের এই অনুষ্ঠানে শুধু বাঙালি নয়, ছিলেন প্রবাসী ভারতীয়রাও। তাঁদের সামনেই ভারতে বৈচিত্রের মধ্যে একতার পরম্পরা তুলে ধরেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। BGBS-এ আসার জন্য সবাইকে আহ্বান জানান। বলেন, রবি ঠাকুরের কথায় বলি, সবারে করি আহ্বান। সামনে দুর্গাপুজোয় সবাইকে শুভেচ্ছা। ইউনেস্কোর তরফে বাংলার দুর্গাপুজোকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ঘোষণা করা হয়েছে। প্রবাসীদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, আপনারা চাইলে বাংলায় ফিরে আসুন। সব ক্ষেত্র তৈরি আছে। বাংলায় পরিকাঠামোর প্রভূত উন্নয়ন হয়েছে। একবার এসে দেখে যান বদলে যাওয়া বাংলার চেহারা।

মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, দুবাইয়ে প্রচুর প্রবাসী বাঙালি আছেন। পরিযায়ী শ্রমিকরা এখানে কাজ করেন। তাঁদের সুবিধার জন্য রাজ্য সরকার কর্মসাথী অ্যাপ চালু করেছে। যখন যে যেখানে বিপদে পড়ে আমরা পাশে দাঁড়াই। বাংলায় ৯৯ শতাংশ মানুষ সামাজিক সুরক্ষা পান।

মমতা বলেন, আমি প্রথম দুবাইয়ে এসে থাকলাম। আমরা দুবাইয়ের সঙ্গে চিরস্থায়ী সম্পর্ক রাখতে চাই। সবাইকে নিয়ে চলতে চাই। মুখ্যমন্ত্রী জানান, পয়লা বৈশাখকে রাজ্য দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। “বাংলার মাটি বাংলার জল”- গানটি এখন বাংলার রাজ্য সঙ্গীত। অনুষ্ঠানের শেষে সাংবাদিক অনিন্দ্য জানাকে মঞ্চে ডেকে নেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি গান “প্রাণ ভরিয়ে তৃষা হরিয়ে/ মোরে আরও আরও আরও দাও প্রাণ“। গলা মেলান মুখ্যমন্ত্রীও। শেষে তিনি গাইলেন, “অ্যায় মেরে বতন কি লোগো“। দুবাইয়ের প্রবাসীরা তখন আবেগে ভাসছেন। শেষে রাজ্যের গান “বাংলার মাটি বাংলার জল”-এ গলা মেলান সকলে। এক হয়ে যায় বাংলা-দুবাই।

আরও পড়ুন- দুবাইয়ে বাংলা-আরবি সংস্কৃতির সেতুবন্ধনে রবীন্দ্রনাথ

Previous articleজয় দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজ শুরু ভারতের, অজিদের হারাল ৫ উইকেটে
Next articleমোহভঙ্গ! বিজেপি ত্যাগের ঘোষণা শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ নন্দীগ্রামের সেই প্রলয়ের