ফের বঙ্গ সিপিএমে সংস্কৃতি বদল, সলিল-হেমাঙ্গরা অতীত, রিল্‌স জুড়ে বা.জারি হিন্দি গান!

কর্মসূচির বিভিন্ন ফুটেজকে রিল্‌স আকারে ফেসবুক পেজে তুলছে সিপিএমের আইটি সেল। সেখানে ব্যবহার করা হচ্ছে অরিজিৎ, প্রীতম, কেকে-র গাওয়া গান

ব্রিগেডে “টুম্পা সোনা…” থেকেই বদলে গিয়েছে বঙ্গ সিপিএমের সংস্কৃতি। নতুন প্রজন্মকে কাছে টানতে সিপিএমের সোশ্যাল মিডিয়ায় ফের বাজারি হিন্দি গানের রমরমা। ‘পথে এবার নামো সাথী’ বা ‘শঙ্খচিল’-এর পরিবর্তে ‘লহরা দো’? যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ধীরে ধীরে সাংস্কৃতিক লাইনে পরিবর্তন আনতে শুরু করছে বঙ্গ সিপিএম? ধারাবাহিক ভাবে দলের ‘অফিশিয়াল’ ফেসবুক পেজ থেকে যে ধরনের রিল্‌স আপলোড করা হচ্ছে, যে যে গান ব্যবহার করা হচ্ছে, তা থেকেই বিষয়টি পরিষ্কার।

সিপিএমের যুব সংগঠন ‘ইনসাফ যাত্রা’ করছে। সেই কর্মসূচির বিভিন্ন ফুটেজকে রিল্‌স আকারে ফেসবুক পেজে তুলছে সিপিএমের আইটি সেল। সেখানে ব্যবহার করা হচ্ছে অরিজিৎ, প্রীতম, কেকে-র গাওয়া গান। এমন অজস্র রিল্‌সের আবহে বাজছে বাণিজ্যিক হিন্দি ছবির গান। অর্থাৎ, সিপিএমের কাছে হেমাঙ্গ বিশ্বাস, সলিল চৌধুরীরা এখন অতীত। নতুন প্রজন্মকে কাছে টানতে অরিজিৎ সিং এবং কেকে, প্রীতমদের গানের উপর ভরসা রাখছে সিপিএম।

গণসঙ্গীতের ধ্রুপদী ঘরানা থেকে ধীরে ধীরে বার হতে থাকলেও একটা সময়ে নাড়ির টান ছিঁড়ে যাবে। ফলে রিল্‌সে গানের ব্যবহার নিয়ে সিপিএমের মধ্যে ইতিবাচক এবং নেতিবাচক দুই মনোভাবই রয়েছে। তৈরি হয়েছে বিতর্ক।

ভারতে কমিউনিস্ট আন্দোলনে একটি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রয়েছে। সফদর হাশমি থেকে উৎপল দত্ত, দেবব্রত বিশ্বাস, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, ঋত্বিক ঘটকদের নাম জড়িয়ে রয়েছে আইপিটিএ-তে। সেই প্রেক্ষাপটে এই রিল্‌সের যুগে বাজারচলতি হিন্দি গানের ব্যবহার নিয়ে কেউ কেউ যেমন ভ্রু কুঁচকোচ্ছেন, তেমনই কেউ কেউ আবার বলছেন, পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ না খাওয়ালে ‘ডারউইনবাদ’কে অস্বীকার করা হবে।

আরও পড়ুন- ব্রেন ডে.থের পর তৃণমূল বিধায়কের বোনের অ.ঙ্গদানের সিদ্ধান্ত পরিবারের

 

 

Previous articleব্রেন ডে.থের পর তৃণমূল বিধায়কের বোনের অ.ঙ্গদানের সিদ্ধান্ত পরিবারের
Next articleKIFF: ওটিটি ক্ষণিকের অতিথি না বিনোদনের ভবিষ্যত, উত্তর খুঁজল সিনে আড্ডা!