কেন্দ্রের ‘উচ্ছেদ-চ.ক্রান্ত’ বানচাল, আগেই বাংলো ছাড়লেন মহুয়া

প্ল্যানমাফিক ‘বলপূর্বক উচ্ছেদের’ সব পরিকল্পনা করলেও তা কার্যত বানচাল হয়ে গেল। মোদি সরকারের (Modi Govt) অতিতৎপরতাকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখালেন মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra)। শুক্রবার একেবারে প্রস্তুত হয়ে দিল্লিতে (Delhi) মহুয়ার বাংলোতে  দলবল নিয়ে উপস্থিত হয় ডিরেক্টরেট অফ এস্টেটের (Directorate of Estate) একটি দল। কিন্তু সকাল সকাল মহুয়ার সাংসদ বাংলোতে (Bungalow) পৌঁছে কার্যত মুখ পুড়ল মোদির পাঠানো দলের। এদিন

দিল্লির বাংলোয় পৌঁছতেই কেন্দ্রীয় দফতরের আধিকারিকরা দেখেন তাঁরা সেখানে পৌঁছনোর অনেক আগেই বাংলো ছেড়ে দিয়েছেন মহুয়া।

আর সেকারণে বিজেপির ‘উচ্ছেদের’ আপ্রাণ চেষ্টা ও পরিকল্পনা থাকলেও তা মাঠে মারা গেল।

শুক্রবার মহুয়ার আইনজীবী শাদান ফারাসাত জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় দল পৌঁছনোর আগেই বাংলো খালি করে দিয়েছেন তাঁর মক্কেল। শুক্রবার সকাল ১০টা নাগাদ বাংলো খালি করে দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে মোদি সরকারের আধিকারিকদের হাতে বাংলোর জিনিসপত্র তুলে দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, দিল্লির টেলিগ্রাফ লেনে ৯বি নম্বর যে বাড়িটিতে মহুয়া মৈত্র ছিলেন, শুক্রবার সকাল ১০টায় তা সম্পূর্ণ খালি করে দেওয়া হয়েছে। ডিওই-এর আইনজীবীর হাতে বাংলোর জিনিসপত্র তুলে দেওয়া হয়েছে। ডিওই আসার আগেই বাংলো খালি করা হয়েছিল। ফলে কোনও ‘উচ্ছেদ’ হয়নি।

গত ৮ ডিসেম্বর মহুয়ার লোকসভার সাংসদ পদ খারিজ হয়। ৭ জানুয়ারির মধ্যে তাঁকে দিল্লিতে সরকারি বাংলো খালি করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু মহুয়া তা করেননি। মহুয়া চেয়েছিলেন, ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের ফল ঘোষণার পর তিনি দিল্লির বাংলো খালি করবেন। আদালতে মহুয়ার আইনজীবী জানিয়েছিলেন, মহুয়া মৈত্র বর্তমানে নয়া দিল্লির এক হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি আছেন। তাঁর দিল্লিতে অন্য কোনও বাড়িও নেই। এই পরিস্থিতিতে একাকী মহিলা হিসাবে তাঁকে যাতে গৃহচ্যুত না করা হয়, এমনই আবেদন করেছিলেন জানান মহুয়ার আইনজীবী। বাংলো ছাড়ার জন্য মাস চারেক সময় চেয়েছিলেন। ওই সময়কালে বাংলোর ভাড়া দিতেও রাজি ছিলেন। কিন্তু আদালত কোনও কথাই শোনেনি।

 

 

 

 

Previous articleউত্তরপ্রদেশে আবাসের ঘর পেতে কত ঘুষ জানেন? চাপা রইল না তথ্য
Next articleএই মাঠেই টি-২০ বিশ্বকাপের ভারত-পাক মহারণ, কতটা তৈরি সেই স্টেডিয়াম?