জলপাইগুড়িতে ঝড়ে বিপর্যস্ত এলাকায় রাজ্যপাল,ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা

ঝড়ে বিপর্যস্ত এলাকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সোমবার জলপাইগুড়ি পৌঁছন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। এদিন বাগডোগরা বিমানবন্দরে  নেমে জলপাইগুড়ির উদ্দেশে রওনা দেন রাজ্যপাল। জলপাইগুড়ির ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সেনপাড়ায় নিহত দ্বিজেন্দ্রনারায়ণ সরকারের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। দিদির বাড়িতে এসে গতকাল ঝড়ে প্রাণ হারিয়েছেন ওই ব্যক্তি। এরপর তিনি যান পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা নিহত অণিমা বর্মন (৪৫)-এর বাড়িতে। সেখান থেকে জলপাইগুড়ি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে যান রাজ্যপাল। সেখানে এই মুহূর্তে আহত ৪০ জন ভর্তি রয়েছেন। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। সেখান থেকে ময়নাগুড়ির বার্নিশে যান তিনি।

গতকাল কিছুক্ষণের ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে যায় জলপাইগুড়ির বিস্তীর্ণ এলাকা। মৃত্যু হয় ৪ জনের। এর মধ্যে রয়েছেন জলপাইগুড়ির সেনপাড়ার দ্বিজেন্দ্রনারায়ণ সরকার (৫২), পাহাড়পুরের অণিমা বর্মন (৪৫), ময়নাগুড়ির পুটিমারির যোগেন রায় (৭২) এবং ময়নাগুড়ির রাজারহাটের সমর রায় (৬৪)। আহত হয়েছেন বহু। ঝড়ে বিপুল ক্ষতি হয়েছে ময়নাগুড়ির বার্নিশ এলাকায়। এর পাশাপাশি আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার জেলাতেও ঝড়বৃষ্টিতে ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গিয়েছে। উপড়ে পড়েছে বহু গাছ। এখনও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে বহু এলাকা। ঝড়ে বিপর্যয়ের পরই উদ্ধারকাজ শুরু হয়।

এদিকে ঝড়ে বিপর্যস্ত এলাকা পরিদর্শনে রাতেই জলপাইগুড়ি পৌঁছান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । এদিন সেখানে পৌঁছান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন রাজ্যপাল বলেন, জলপাইগুড়িতে ঝড়ের ঘটনায় আমি উদ্বিগ্ন। সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। সকলে একসঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলার কাজ করছেন। আমি ওখানে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছি, ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি।






Previous articleলোকসভা নির্বাচনের জন্য বাড়ল স্কুলের ছুটি, গরমের ছুটি শুরু ৬ মে
Next article“রাজনীতি করতে এসেছেন”! জলপাইগুড়ি হাসপাতালে শুভেন্দুকে ঘিরে বিক্ষোভ স্থানীয়দের