ঘটা করে দীপাবলির বিশ্ব রেকর্ড বানানোর চেষ্টা করেছিলেন যোগী আদিত্যনাথ। অযথাই জ্বলেছিল ২৬ লক্ষ প্রদীপ। দীপাবলির শেষ হতে না হতেই অযোধ্যায় (Ayodhya) ফুটে উঠল অভক্তি (apathy) ও দারিদ্র্যের (poverty) করুণ ছবি। যেখানে শ্রদ্ধার দীপাবলিতে (Diwali) জ্বালানো প্রদীপ জ্বলন্ত অবস্থাতেই ঝাঁট দিয়ে ফেলে দেওয়ার দৃশ্য দেখা গেল। দলে দলে স্থানীয় মানুষ জড়ো হলেন প্রদীপের তেল (oil) সংগ্রহ করতে।

ভক্তির নাম করে বিজেপি গোটা দেশে যে ধর্মের খেলা শুরু করেছে তার বড় উদাহরণ হয়ে দাঁড়াল অযোধ্যার দীপাবলি। দীপাবলির প্রদীপ জ্বালাতে ঘটা করে আহ্বান জানানো হল গোটা দেশ, এমনকি গোটা বিশ্বকে। অথচ সেই প্রদীপ জ্বলার কিছু সময় পরে উধাও সবার ভক্তি। প্রদীপের (lamp) শিখা নেভার আগেই শুরু হল প্রদীপ ঝাঁট দিয়ে ফেলে দেওয়ার কাজ। ভক্তি (devotion) উঠল শিকেয়।

প্রশাসনের কর্মীরা প্রদীপ (lamp) ঝাঁট দেওয়ার কাজ শুরু করতেই দলে দলে ভিড় করলেন স্থানীয় মানুষ। প্রদীপে যে বিপুল পরিমাণ সর্ষের তেলের (mustard oil) অপচয় হয়েছিল তার সদ্ব্যবহার করলেন তাঁরা। পাত্র, কৌটো, বোতলে দ্রুত সেই সব তেল ভরে নিয়ে গেলেন।

অযোধ্যায় ২৬ লক্ষ প্রদীপের দীপাবলি করা নিয়ে আগেই সরব হয়েছিলেন সমাজবাদী পার্টি (Samajwadi Party) সাংসদ অখিলেশ যাদব (Akhilesh Yadav)। এত প্রদীপ জ্বালানোর জন্য অর্থের অপচয়ের অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। কার্যত তাঁরই অভিযোগ সত্যি প্রমাণিত হল দীপাবলীর শেষে। আদতে বিজেপির এই উপাচারে যে কোনও ভক্তি ছিল না, সেটাও প্রমাণিত হল। সেই সঙ্গে প্রদীপের তেলে অর্থের অপচয় না করে, সাধারণ মানুষের প্রয়োজনে তা ব্যবহার যে কত প্রয়োজনীয় ছিল, তা প্রমাণিত হল উৎসবের শেষে।

আরও পড়ুন: সকালেই দিল্লি-মুম্বইয়ের থেকে ‘ভালো’ কলকাতা: শব্দবাজিতে গ্রেফতার ১৮০

উৎসবের শেষে তাই কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না অখিলেশ (Akhilesh Yadav)। তিনি দাবি করেন, বাস্তব সত্য তো এই দৃশ্য। সেই দৃশ্য নয়, যা দেখিয়ে বাকিরা চলে গেল। আলোর পরের এই অন্ধকার ভালো নয়।

सच तो ये दृश्य हैं… वो नज़ारा नहीं जिन्हें दिखाकर लोग चले गये।
रोशनी के बाद का ये अंधेरा अच्छा नहीं। pic.twitter.com/k35h4rHczu
— Akhilesh Yadav (@yadavakhilesh) October 20, 2025
–

–

–
