Sunday, November 9, 2025

 মহারাষ্ট্রের স্পিকারের ‘আসল সেনা’ আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে  উদ্ধব ঠাকরে

Date:

Share post:

মহারাষ্ট্রে রাজনৈতিক অস্থিরতার বিষয়টি ফের একবার সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছতে চলেছে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা বুধবার (১০জানুয়ারি) বলেছে যে বিধায়কদের ‘অযোগ্য ঘোষণার’ বিষয়ে স্পিকার রাহুল নরওয়েকারের সিদ্ধান্তের বিরোধীতায় তারা সুপ্রিম কোর্টে যাবে। স্পিকারের এই সিদ্ধান্তকে ‘গণতন্ত্রের হত্যা’ হিসেবে অভিহিত করেছে উদ্ধব ঠাকরে শিবির। আর স্পিকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করা হবে বলে জানিয়েছেন উদ্ধব। উদ্ধব এবং শিন্দে শিবিরের দায়ের করা আবেদনের রায় দেওয়ার সময় রাহুল নরওয়েকার বলেছিলেন যে একনাথ শিন্দে শিবিরই ‘আসল শিবসেনা’।

মহারাষ্ট্র বিধানসভার স্পিকার রাহুল নারওয়েকরের একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বাধীন দল কে ‘আসল শিবসেনা’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে সোমবার সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছে। মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা গোষ্ঠী।মহারাষ্ট্রের স্পিকার, শিন্দে শিবিরের ১৬ জন বিধায়কের অযোগ্যতা চেয়ে উদ্ধব গোষ্ঠীর আবেদনও প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। গত ১০ জানুয়ারি, নারওয়েকর ঘোষণা করেছিলেন যে ২০২২ সালে বাল ঠাকরে দ্বারা প্রতিষ্ঠিত দলটি বিভক্ত হওয়ার পরে শিন্দে গোষ্ঠীই আসল শিবসেনা। স্পিকার এও রায় দিয়েছিলেন যে ঠাকরের শিন্ডেকে সরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা নেই, তিনি বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রী এবং শিবসেনার সংবিধান অনুযায়ী আইনসভার দলের নেতা।

স্পিকার আরও ঘোষণা করেছিলেন যে কোনও দলের নেতৃত্ব সংবিধানের দশম  তফসিলের বিধানগুলি ব্যবহার করতে পারে না (দলত্যাগ বিরোধী আইন) দলের মধ্যে ভিন্নমত বা শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করতে।স্পিকার উল্লেখ করেছিলেন, ২০২২ সালের জুনে দল বিভক্ত হওয়ার সময় মোট ৫৪ জন সেনা বিধায়কের মধ্যে ৩৭ জনের সমর্থন ছিল একনাথ শিন্ডে গোষ্ঠীর প্রতি। নির্বাচন কমিশন ২০২৩ সালের গোড়ার দিকে শিন্দের নেতৃত্বাধীন দলকে ‘শিবসেনা’ নাম এবং ‘ধনুক এবং তীর’ প্রতীক দিয়েছিল।বিধানসভা স্পিকারের এই রায় কে সুপ্রিম কোর্টের অপমান বলে অভিহিত করে ঠাকরে দাবি করেছেন যে স্পিকার আদেশটি বুঝতে পারেননি।

উদ্ধব ঠাকরে তার আবেদনে বলেছেন,  “আমি মনে করি বিধানসভার স্পিকার ম্যান্ডেট (সুপ্রিম কোর্টের) বুঝতে পারেননি — তাকে যা করতে বলা হয়েছিল। এটি অযোগ্যতার একটি সাধারণ মামলা ছিল। সুপ্রিম কোর্ট একটি কাঠামো তৈরি করেছিল, কিন্তু স্পিকার ভেবেছিলেন যে তিনি সুপ্রিম কোর্টের ঊর্ধ্বে এবং নিজের আদালত এবং রায় নিয়ে এসেছেন।” উল্লেখ্য, সেনা (ইউবিটি) প্রধান, ২০২২ সালে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যেতে বাধ্য হন যখন শিন্দে বিদ্রোহ করেছিলেন বিজেপির সাহায্য নিয়ে।

spot_img

Related articles

এপিকের সঙ্গে মোবাইল লিঙ্ক না থাকলে অনলাইনে ফর্ম নয়! কমিশনের নিয়মে ক্ষোভে ফুঁসলেন কল্যাণ 

নির্বাচন কমিশনের নতুন নির্দেশিকা ঘিরে ফের রাজনৈতিক বিতর্ক। রবিবার শ্রীরামপুর পুরসভার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে ভোট রক্ষা শিবিরে অংশ...

ফাইনাল ম্যাচে শাহরুখের মন্ত্রেই ছাত্রীদের তাতিয়ে ছিলেন? অকপট স্মৃতিদের কোচ

ভারতীয় মহিলা দল বিশ্বকাপ জেতার পরই চক দে ইন্ডিয়ার কবীর খান হয়ে উঠেছেন অমল মুজুমদার(Amol Muzumdar)। কী বলে...

এসআইআর আতঙ্কে মৃতদের পরিবারের পাশে তৃণমূল: রাজ্যজুড়ে শোকাহত পরিবারগুলির ঘরে দলের জনপ্রতিনিধিরা 

এসআইআর আতঙ্কে রাজ্যজুড়ে মৃত্যুর ঘটনা ক্রমশ বাড়ছে। কোথাও আত্মহত্যা, কোথাও আতঙ্কে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু— ভয় ছড়িয়ে পড়েছে গ্রাম...

বাংলাভাষায় ১০ কোটিও খরচ নয়! বাঙালিবিদ্বেষী বিজেপির রবীন্দ্র-বঙ্কিম ভাগে তোপ গণমঞ্চের

বিজেপি আদতে বাঙালি বিদ্বেষী, তা সাম্প্রতিক সময়ে বারবার প্রত্যক্ষভাবে প্রমাণিত। সেই বিদ্বেষের বিরুদ্ধে বারবার সরব হয়েছে দেশ বাঁচাও...