“লাদাখে যতই যুদ্ধের আবহ তৈরি হোক, ভারতীয়রা যতই দেশপ্রেম দেখান, ‘সস্তা’ চিনা পণ্যের উপর ভারতীয়দের লোভ কিছুতেই কমবে না।”
এই দাবি করেছে চিনা কমিউনিস্ট পার্টি ও চিন সরকারের মুখপত্র ‘গ্লোবাল টাইমস’৷
‘গ্লোবাল টাইমস’-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “সস্তা চিনা পণ্যের প্রতি ভারতীয়দের লোভ রয়েছে৷ চিনকে অপমান করতে, চিনকে বয়কট করে প্রতিশোধ তুলতে, দেশপ্রেমের হাওয়ায় ভারতের মাটিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ডিং হয়েছে ‘বয়কট চায়না’। কিন্তু তা কার্যকর করা খুব কঠিন। অজস্র চিনা পণ্যের বিকল্প এখনও ভারত তৈরিই করতে পারেনি। স্মার্টফোন, মোবাইল অ্যাপ, ল্যাপটপ, ক্যামেরা -সহ চিনে তৈরি প্রযুক্তির যন্ত্রাংশের উপর ভারত-সহ বহু দেশ নির্ভরশীল। খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, ছাতা, পেন, গাড়ি, বাড়ি, হার্ডওয়্যার চিন থেকেই আমদানি করে ভারত। ফলে চিনা পণ্য বয়কটের ডাক কার্যক্ষেত্রে ব্যর্থ হবেই। চিনা পণ্য বয়কট করলে ধাক্কা খাবেন ভারতীয়রাই। যাই ঘটুক, নিজেদের সেই লোভ ভারতবাসী দমন করতেই পারবেন না। চিনা জিনিসের প্রতি ভারতীয়দের দুর্বলতা থেকেই যাবে।
‘গ্লোবাল টাইমস’- এ একাধিক চিনা উদ্যোগপতি দাবি করেছেন, ভারতীয়দের বেশিরভাগই গরিব ও নিম্নমধ্যবিত্ত। অন্যদিকে, বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মধ্যবিত্ত-ও বাস করেন ভারতেই। মানসিক গঠন ও চাহিদা অনুযায়ী ‘সস্তা’র জিনিস খোঁজেন তাঁরা৷ প্রযুক্তি হোক বা নিত্যব্যবহার্য জিনিস, কম দামে এমন জিনিসের চাহিদা ভারতীয়দের মধ্যে তুঙ্গে। ভারতীয়রা সবসময়ই চেষ্টা করেন, যে জিনিস তাঁরা ব্যবহার করেন, তার দাম যেন সাধ্যের মধ্যে হয়। গোটা দুনিয়ায় একমাত্র চিনা পণ্যই সস্তা৷ ওই একই পণ্য অন্য সংস্থা বা ভারতীয় সংস্থা যদি তৈরিও করে, তা গুণমানে চিনা পণ্যের থেকে ভালো হলেও, দাম বেশি৷ ফলে তা কোটি কোটি ভারতীয় কিনতে পারেন না। তাই আগামী দিনে, যেখানে করোনা পরবর্তী অর্থনীতি অনেকটাই বিপর্যস্ত, মানুষের হাতে টাকা ও রোজগার নেই, সেখানে ভারতের মতো দেশে চিনা
পণ্যের বিক্রি ও চিনা পণ্যের প্রতি আগ্রহ বাড়বেই।