মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই দুর্বল করতে চাইছেন ‘হেরো’ রাহুল, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর তোপ উজ্জীবিত বিজেপির

একের পর এক নির্বাচনে কংগ্রেসের হারের নেতৃত্ব দেওয়া, জনসংযোগহীন রাহুল গান্ধী চাইছেন করোনা মহামারির বিরুদ্ধে সরকার ও জনগণের লড়াইকে দুর্বল করে দিতে। তাই কঠিন সময়েও তিনি চরম দায়িত্বজ্ঞানহীন রাজনীতি করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ‘হেরো’ রাহুল এবং তাঁর পৃষ্ঠপোষক তথাকথিত সমাজকর্মীরা মিলে ‘পিএম কেয়ার্স তহবিল’ নিয়ে কেন্দ্র সরকারকে কালিমালিপ্ত করার যে চেষ্টা করছিলেন, শীর্ষ আদালতের রায়ে সেই অপচেষ্টা বানচাল হল। পিএম কেয়ার্স তহবিল নিয়ে মঙ্গলবারের রায়ের পর উজ্জীবিত বিজেপি এভাবেই বিঁধল কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতিকে।

‘পিএম কেয়ার্স’ তহবিলে গচ্ছিত অর্থ হস্তান্তর করা যাবে না বলে মঙ্গলবার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। একইসঙ্গে এই তহবিলকে কার্যত বৈধতা দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। এই রায় সামনে আসতেই প্রত্যাশিতভাবে কংগ্রেস এবং রাহুল গান্ধীকে তীব্র আক্রমণ করেন বিজেপির নেতা-মন্ত্রীরা। তাঁদের দাবি, কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে দেশবাসী যা অর্জন করেছেন, এতদিন তা নিজেদের জায়গির ভেবে এসেছে গান্ধী পরিবার। সরকারের যেকোনও ভাল কাজেই এখন তাদের গাত্রদাহ হচ্ছে। নিজেদের পাপ ধুতে ‘পিএম কেয়ার্স’-কেও তাই কালিমালিপ্ত করতে উঠেপড়ে লেগেছে কংগ্রেস। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রথমদিন থেকেই নেতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছেন রাহুল। প্রধানমন্ত্রীর বিরোধিতা করতে গিয়ে দেশকে দুর্বল করে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন তিনি। এদিন সুপ্রিম কোর্টের রায় সামনে আসতেই দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। তিনি বলেন, প্রথমদিন থেকে রাহুল গান্ধী করোনার বিরুদ্ধে লড়াইকে দুর্বল করে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। করোনার বিরুদ্ধে যাঁরা সামনে থেকে লড়াই করছেন, সেইসব চিকিৎসক, নার্স, সাফাইকর্মী, পুলিশকর্মীদের সম্মান জানাতে তালি বাজাতে বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তা নিয়ে ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ করেন রাহুল। প্রধানমন্ত্রীর কথায় যখন করোনাকে হারাতে গোটা দেশ প্রদীপ জ্বালায়, তখনও তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। প্রথমদিন থেকে তিনি করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মানসিকতাকে হেয় করতে উঠেপড়ে লেগেছেন। রবিশঙ্কর প্রসাদ আরও বলেন, বৈধ কাগজপত্রই হোক বা বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে আসা অনুদান, পিএম কেয়ার্স তহবিলে সবক্ষেত্রে স্বচ্ছতা রয়েছে। আমাদের সরকারের বিরুদ্ধে একটাও দুর্নীতির অভিযোগ নেই। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এখনও পর্যন্ত পিএম কেয়ার্স ফান্ড থেকে ৩ হাজার ১০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে, এর মধ্যে ২ হাজার কোটি টাকা খরচ করে ৫০ হাজার ভেন্টিলেটর কেনা হয়েছে। পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য খরচ করা হয়েছে ১ হাজার কোটি টাকা। ১০০ কোটি টাকা গিয়েছে ভ্যাকসিন সংক্রান্ত কাজে।

সুপ্রিম কোর্টের রায় সামনে আসার পর এদিন রাহুলের কড়া সমালোচনা করেন বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডাও। টুইটারে তিনি লেখেন, রাহুল গান্ধী এবং তাঁর ভাড়া করা সমাজকর্মীরা মিলে পিএম কেয়ার্স তহবিল নিয়ে সরকারকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের রায়ে তাঁদের সেই প্রচেষ্টা ধাক্কা খেল। কংগ্রেস যে অপচেষ্টাই করুক না কেন, সত্যিটা সামনে আসবেই।

Previous articleলজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে গেল! মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে বললেন ধনকড়
Next articleশিক্ষক নিয়োগ : রাজ্যের কাছে প্রাথমিক টেট উত্তীর্ণ প্রশিক্ষিত ঐক্য মঞ্চের আর্জি