জোট প্রসঙ্গে অধীর চৌধুরি এখনও কথা না বলায় ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন বামেরা

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর, এখনও পর্যন্ত অধীর চৌধুরি কং-বাম জোট নিয়ে বামনেতাদের সঙ্গে একটা কথাও বলেননি৷ এমনকী ফোনালাপও হয়নি৷ ফলে, একুশের ভোটে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গড়ে লড়ার বিষয়ে নতুন করে চিন্তায় পড়েছে বামফ্রন্ট৷ চিন্তা এতটাই যে, এই ইস্যুতে আজ, সোমবার বৈঠকে বসছে ফ্রন্টনেতারা৷

আগেই ঘোষণা হয়েছে, একুশের বিধানসভা ভোটে বামেদের সঙ্গে জোট করেই লড়বে প্রদেশ কংগ্রেস৷ প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরি, বিরোধী নেতা আবদুল মান্নানরা জোটের পক্ষেই সওয়াল করেছেন। চলছে যৌথ কর্মসূচিও৷ বামফ্রন্টের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনার জন্য বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের কমিটিও তৈরি করে দিয়েছেন অধীরবাবু। মোটের উপর জোট- প্রক্রিয়ার কাজ চলছে৷

কিন্তু সূত্রের খবর, বামনেতারা চাইলেও এখনই বিমান বসু- সূর্যকান্ত মিশ্রদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে চাইছেন না অধীর চৌধুরি। আবদুল মান্নান যথেষ্ট চেষ্টা চালাচ্ছেন অধীর- বাম বৈঠকের৷ কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেই চেষ্টা দিনের আলো দেখেনি৷ শোনা যাচ্ছে, অধীরবাবু না’কি ফোনেও জোট প্রসঙ্গে বিমানবাবুদের সঙ্গে কথা বলেননি৷ আর এই কারণেই জোট নিয়ে আপাতত হতাশ বামনেতারা। অধীরবাবু যোগাযোগ না করায় চিন্তিতও বাম নেতারা। তাহলে কি জোট হবেনা?

এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করতে আজ, সোমবার রাজ্য বামফ্রন্টের বৈঠক ডাকা হয়েছে৷ এ প্রসঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

প্রদেশ সভাপতি হওয়ার পরদিনই অধীর চৌধুরি লোকসভার দলনেতার দায়িত্ব পালনের জন্য সংসদের অধিবেশনে যোগ দিতে দিল্লি চলে যান। অধিবেশন শেষ হওয়ার পর হাথরাস-সহ একাধিক জাতীয়স্তরের
ইস্যুতে অংশ নিতে হয় তাঁকে। মাসখানেক পর কলকাতায় ফিরেই শুক্রবার অধীর চৌধুরি দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন৷ শনিবার প্রদেশ কংগ্রেস ঐক্যবদ্ধ চেহারায় কলকাতায় বড় মিছিলও করে অধীরবাবুর নেতৃত্বে। বাম নেতৃত্ব ধারনা করেছিলেন, মান্নানদের বার্তা পেয়ে অধীরবাবু তাদের সঙ্গে প্রাথমিক কথাবার্তাটুকু অন্তত বলবেন। আনুষ্ঠানিক বৈঠক না হলেও বিমান বসুর সঙ্গে সৌজন্যের খাতিরে ফোন একটা করবেন৷ কিন্তু রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত অধীর চৌধুরি সিপিএম বা বাম নেতাদের কাউকে ফোন করেছেন বলে শোনা যায়নি। বরং এদিন তিনি বহরমপুর চলে গিয়েছেন৷ সেখানে নাকি একাধিক কর্মসূচিতে যোগ দিতে কয়েকদিন তাঁকে থাকতে হবে৷ অধীর- ঘনিষ্ঠ কংগ্রেস মহল এ প্রসঙ্গে বলছেন, আসন ভাগাভাগি নিয়ে কথা বলার জন্য এখনও কোনও হোমওয়ার্ক করে উঠতে পারেননি প্রদেশ সভাপতি। জেলাগুলি এখনও কোনও প্রাথমিক তালিকা দেয়নি তাঁকে৷ ন্যূনতম তথ্য হাতে না নিয়ে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় বসা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়৷ তবে, যখন দরকার হবে অধীরবাবু তখনই যোগাযোগ করবেন বামেদের সঙ্গে।

আরও পড়ুন-হুগলি তৃণমূলের সম্মেলনে সভাপতি ও বিরোধী গোষ্ঠীর তুমুল দ্বন্দ্ব

Previous articleচিৎপুরের প্লাস্টিকের কারখানায় ভয়ঙ্কর অগ্নিকাণ্ড
Next articleউৎসবের মরশুমে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্য জোড়া খুশির খবর শোনালো মোদি সরকার